North Korea: খাদ্যসঙ্কট মেটাতে কিমের নির্দেশে উত্তর কোরিয়ায় চলছে পোষ্য কুকুর নিধন
Kim Jong Un (Photo Credit: PTI)

পিয়ংইয়ং, ১৯ অগাস্ট: গত কয়েকদিনের সংবাদের উপর যদি চোখ রাখা যায়, তাহলে উত্তর কোরিয়ার খাদ্য সংকটের বিষয়টি নজরে আসবেই। উত্তর কোরিয়া খাদ্যসঙ্কটে ভুগছে! এই সমস্যা সমাধানে এক অদ্ভুত উপায় বাতলে দিলেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। নিজেদের বাড়ির পোষ্যকে রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিন, উত্তর কোরিয়ার সকল বাসিন্দাদের বার্তা কিমের। বন্যা, করোনাভাইরাস-সহ একাধিক কারণে উত্তর কোরিয়ায় অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে, দেশজুড়ে খাদ্যের হাহাকার। কিম প্রশাসনের পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির কারণে একের পর এক আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণেই দেশের অবস্থা এই পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে দাবি করা হচ্ছে একাধিক প্রতিবেদনে।

এহেন পরিস্থিতিতে একঢিলে দুই পাখি মারছেন কিম, একদিকে গরীব মানুষদের অসন্তোষ প্রশমিত করছেন, অন্যদিকে খাদ্যসংকটে লাগাম টানছেন। এই বিষয়ে একটি তত্ত্ব খাঁড়া করেছেন কিম প্রশাসন, তাদের দাবি গরিব মানুষেরা শূকর কিংবা ওই জাতীয় কোনও প্রাণী পোষেন কিন্তু দেশের সবথেকে দামী জায়গা পিয়ংইয়ং-এ সকলে বাড়িতে পোষ্য হিসেবে কুকুর রাখেন। কারণ পিয়ংইয়ং-এ বসবাসকারী সকলেই ধনী, দেশের দু:সময়ে সকলের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখতেই কিমের তথাকথিত কমিউনিস্ট সরকার এমনটাই বোঝাচ্ছে দেশের দরিদ্র মানুষদের। প্রশাসনের তরফে যাদের বাড়িতে কুকুর পোষ্য হিসেবে রয়েছে, তা চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং তারপর সেই সমস্ত পোষ্যকে রীতিমত জোর করে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এদিকে উত্তর কোরিয়ায় কিমের একনায়কতন্ত্র। তাঁর নির্দেশকে অমান্য করার সাহস সহজে কেউ দেখান না সেদেশে। অগত্যা প্রেসিডেন্টের নির্দেশই মানতে হচ্ছে মাথানত করে।

কোনও কোনও কুকুরকে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে চিড়িয়াখানায়, আর বাকিদের পাঠানো হচ্ছে রেস্তরাঁতে। কিম জং উন গত জুলাই মাসে ঘরে কুকুর রাখা 'বুর্জয়া আদর্শের কলঙ্কিত প্রবণতা' বলে ব্যাখ্যা করে দেশে কুকুর পোষাই নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। সংবাদ প্রতিবেদনগুলিতে দাবি করা হচ্ছে, এই হঠকারি কুকুর-মালিকদের অভিশাপের তলায় আসছেন কিম জং উন। প্রসঙ্গত, কুকুরের মাংস ভক্ষণ কোরিয়ানদের একটি ঐতিহ্য, প্রতি বছর ১ মিলিয়ন কুকুর রেস্তরাঁ মালিকদের কাছে বিক্রি করা হয়। চলতি বছরে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে খাদ্যশস্য চাষ ব্য়র্থ হয়েছে উত্তর কোরিয়ায়, তাই পরিস্থিতি এত চরমে পৌঁছেছে।