Donald Trump and Volodymyr Zelenskyy (Photo Credits: X)

গত শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিরল খনিজ সম্পদ নিয়ে একটি চুক্তি সই করতে হোয়াইট হাউসে যান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে সেইদিন সাংবাদিকদের সামনেই বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে নজিরবিহীন বাগযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন তিনি। মধ্যাহ্নভোজ না সেরেই জেলেনস্কি হোয়াইট হাউস ত্যাগ করেন। সেইসঙ্গে ভেস্তে যায় চুক্তি। গতকাল সোমবার (৩ মার্চ) সুর নরম করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জানান, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করতে প্রস্তুত। তবে আজ (৪ মার্চ) সকালেই বিজ্ঞপ্তি জারি করে ইউক্রেনকে ভিন্ন বার্তাই যেন দিলো যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য দেওয়া আপাতত বন্ধ করে দিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।হোয়াইট হাউসের আধিকারিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে এমনটাই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএফপি।

দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর ৩ বছর ধরে রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে উদ্যোগ নিয়েছেন ট্রাম্প। সেখানে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির যৌথ বিবৃতি ভেস্তে যাওয়ার পর থেকে আতসকাঁচের তলায় রয়েছে দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক। তাই রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করতে ইউক্রেনকে ‘চাপে রাখার জন্যই’ আমেরিকার এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। হোয়াইট হাউসের এক আধিকারিক সংবাদ মাধ্যমকে জানান প্রেসিডেন্টের বার্তা একদম স্পষ্ট যে তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠায় মনোযোগী। আমাদের অংশীদারদেরও সেই লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন।তাই যতক্ষণ না ট্রাম্প মনে করবেন ইউক্রেনের নেতারা শান্তির প্রতি অঙ্গীকারের সদিচ্ছা দেখাচ্ছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত এই সামরিক সহযোগিতা স্থগিত থাকবে।

ট্রাম্প প্রশাসনের একজন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে ফক্স নিউজ বলেছে, এই সামরিক সহায়তা স্থায়ীভাবে বন্ধ নয়, এটি সাময়িক সময়ের জন্য। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প এই অস্ত্র সহযোগিতা সাময়িক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথকে নির্দেশ দিয়েছেন।