Gaza (Photo Credit: Twitter)

গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে গাজাকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে ইজরায়েল। হামাস জঙ্গিরা ইজরায়েলে ঢুকে নিরীহ মহিলা, শিশুদের অপহরণ করে গাজায় লুকিয়ে রেখেছে। তাদের ফেরত পেতে সর্বশক্তি উজাড় করে হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল। কিন্তু ইজরায়েলের হামলা ঠিক কতটা শক্তিশালী তা উঠে এল আরবের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম 'আল জাজিরা'য়।

প্যালিস্টাইনের পাশে দাঁড়িয়ে সব খবর কভার করা 'আলি জাজিরা'য় প্রকাশ গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধের প্রথম ৬দিনে গাজার উপর ঘণ্টায় প্রায় ৪২টি বোমা নিক্ষেপ করেছে ইজরায়েল। হ্যাঁ, দেড় মিনিটের চেয়েও কম সময়ে এক একটা বোম উড়ে এসে পড়ে গাজার বুকে। এখনও পর্যন্ত গাজায় মোট ২৫ হাজার টনের বেশী বিস্ফোরক ইজরায়েল ব্যবহার করেছে বলে আল জাজিরা-র রিপোর্টে প্রকাশ।

দেখুন ভিডিয়ো

আর তাতেই উত্তর গাজায় শেষ হয়ে যায় সব কিছু। আকাশপথে ইজরায়েলের লাগাতার বোমা বর্ষণে গাজায় ছোট-বড় বাড়ি থেকে মসজিদ-গির্জা, স্কুল, হাসপাতাল সব ধুলোয় পরিণত হয়। সঙ্গে হামাস জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার সুড়ঙ্গও ধ্বংস হয়ে গিয়েছে বলে দাবি। হামাস জঙ্গিদের নির্মুল করতে গিয়ে গাজায় বহু সাধারণ মানুষ, শিশুদের জীবন শেষ হয়ে যাচ্ছে। গাজাকে সব দিক থেকে অবরুদ্ধ করে হামলা চালাচ্ছে বেঞ্জামিন নেতানায়হুর দেশ। বর্ডার সিল করে খাবার, জল বিচ্ছিন্ন করে গাজার ওপর ক্রমাগত বোমা ফেলেই চলেছে ইজরায়েল। গত সপ্তাহ থেকে গাজায় স্থলপথে আক্রমণ করতে সেনাবাহিনী পাঠিয়েছে ইজরায়েল। গাজা সিটিতে ঢুকে পড়ে হামাসের জঙ্গি ঘাঁটিতে ধ্বংসের কাজ শুরু করেছে ইজরায়েলি সেনা।

হামাসের দাবি, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইজরায়েলের হামলায় গাজায় ১০ হাজারেরও বেশী মানুষ মারা গিয়েছে। অন্তত ৩ হাজার শিশুও এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছে বলে দাবি হামাসের। তবে ইজরায়েলের বক্তব্য, সাধারণ মানুষদের দক্ষিণ গাজায় সরে যাওয়ার সময় তারা দিয়েছে, আকাশ পথ থেকে লিফলেট ছুড়ে গাজাবাসীকে সাবধানও করে দেওয়া হয়। কিন্তু হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে সাধারণ মানুষদের সেখানে আটকে রাখে, যাতে তাদের মৃত্যুতে বিশ্ব দরবারে সহানুভূতি কোড়াতে পারে। শিশুদের মানব সুরক্ষা কবচ বা হিউম্যান শিল্ড বানানোর বিস্ফোরক অভিযোগও ইজরায়েল হামাসের বিরুদ্ধে এনেছে।

বিশ্বের বহু দেশ, জাতিসঙ্ঘ ইজরায়েলের কাছে গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবি জানাচ্ছে। কিন্তু যুদ্ধবিরতি হলে তাতে হামাসের সুবিধা হয়ে যাবে দাবি সেটা কিছুতেই করতে রাজি নয় ইজরায়েল।