ওয়াশিংটন, ৬ মে: এই মুহূর্তে করোনাবিধ্বস্ত দেশগুলিতে প্রয়োজনে ভেন্টিলেটর রপ্তানির পর্যায়ে চলে এসেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার একথাই বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। হোয়াইট হাউসের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডলে জানানো হয়েছে ট্রাম্পের বার্তা, “মার্কিন মুলুকে ভেন্টিলেটরের ব্যবহার মিটেছে। আমরা এখনও অন্য দেশে আমাদের প্রোডাক্ট সরবরাহ করতে পারি।” মার্কিন মুলুকে ৭০ লক্ষেরও বেশি কোভিড-১৯ টেস্ট হয়েছে। গত চার তারিখেই মার্কিন প্রসিডেন্ট আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেছেন, চলতি বছরের শেষেই তাঁদের হাতে আসতে চলেছে করোনার ভ্যাকসিন। একই সঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বাড়ায় সম্ভাব্য মৃতের পরিসংখ্যান বদলে ৮০ হাজার করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মাস্ক ছাড়াই এন-৯৫ মাস্ক তৈরির কারখানায় চলে গেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে ফিনিক্সের হানিওয়েল কারখানায়। কারখানা পরিদর্শনের সময় প্রেসিডেন্টের মুখে মাস্ক ছিল না। সঙ্গে থাকা মার্কিন আধিকারিকরাও কেউ মাস্ক পরেননি। তবে চোখে সবারই সেফটি গ্লাস ছিল। সংবাদ মাধ্যম সিএনবিসি-র তথ্যানুসারে জানা গিয়েছে, হানিওয়েল কারখানার কর্মীরা মাস্ক ব্যবহার ভোলেননি। এই প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউসের তরফে এক আধিকারিক জানিয়েছেন যে, প্রেসিডেন্ট ও অন্যান্য আধিকারিকদের কারখানা পরিদর্শনের সময় মাস্ক পরার প্রয়োজন নেই। ট্রাম্প জনসমক্ষে মাস্ক পরেননি, এমন ঘটনা প্রথম নয়। ফেডারেল সরকার যখন এই বিপর্যয়ের দিনে প্রত্যেক মার্কিনিকে মাস্ক পরার নির্দেশ দিচ্ছে। তখন একইভাবে আলাপচারিতার সময় মাস্ক পরতে অস্বীকৃত হচ্ছেন ট্রাম্প। আরও পড়ুন- Donald Trump Doesn't Wear Mask: মাস্ক ছাড়াই অ্যারিজোনার এন-৯৫ তৈরির কারখানা পরিদর্শনে ডোনাল্ড ট্রাম্প, দেখুন ছবি
The need for ventilators in the United States has been completely met—and exceeded.
We're now in a position to share our supply with other countries. pic.twitter.com/p5ptHgY9pu
— The White House (@WhiteHouse) May 6, 2020
জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্যানুযায়ী ৬ মে পর্যন্ত মার্কিন মুলুকে মোট কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ১২ লক্ষ ১ হাজার ৩৩৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ৭০ হাজার ৬৪৬ জনের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সবথেকে বেশি বিপর্যয়ে নিউইয়র্ক। সেখানেই আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষ ২১ হাজার ১৯২। মৃত ২৫ হাজার ৭৩ জন। পরেই রয়েছে নিউ জার্সি। সেখানে মোট আক্রান্ত ১ লক্ষ ৩০ হাজার ৫৯৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ২৪৪ জনের।