কলকাতা, ১ জুলাই: লকডাউনে দারিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার 'গরিব কল্যাণ যোজনা' শুরু করে। 'প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা'-র (Garib Kalyan Anna Yojana) অধীনে চলতি বছরে দীপাবলি পর্যন্ত ৮০ কোটি মানুষকে চাল, ডাল, আটা, চানা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার কিছু মুহূর্ত পরই রেশন নিয়ে পাল্টা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)। প্রধানমন্ত্রী ৫ মাসের জন্য রেশনের সময়সীমা বাড়ান অন্যদিকে মমতা রেশনের সময়সীমা বাড়ালেন ১২ মাসের জন্য। ২০২১-র জুন মাস পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার রেশন বন্টন নিয়েই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রীকে।
বিনামূল্যের রেশন আগামী নভেম্বর পর্যন্ত আরো পাঁচ মাস দেওয়ার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন @narendramodi। প্রতি মাসে জন প্রতি ৫ কিলোগ্রাম চাল এবং প্রতি মাসে প্রতি পরিবার ১ কিলোগ্রাম ডাল পাবেন। @MamataOfficial খেয়াল রেখেন যাতে এখানে 'কাট' খাওয়া না হয়।(2/3)
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) July 1, 2020
রেশন বন্টন নিয়ে একদিকে মোদি সরকারের প্রশংসা করেন রাজ্যপাল। অন্যদিকে রেশন বন্টন নিয়ে 'রাজনীতির' জন্য মমতাকে বিঁধলেন জগদীপ। টুইটে মমতা ব্যানার্জির উদ্দেশে তিনি লেখেন, "এখানকার রেশন ব্যবস্থার রাজনীতিকরণ দেখে চিন্তায় আছি। গরিব মানুষের প্রাপ্য কালোবাজারে এবং শাসক দলের কর্মীদের কাছেই চলে যায়। রেশন ব্যবস্থাকে রাজনৈতিক খাঁচা থেকে মুক্ত করুন। মানুষের সেবায় লাগান। নিজেদের দায়িত্ব পালনে আমলারা সতর্ক থাকুন। আইন আপনাদের ছাড়বে না।" আম্ফান থেকে করোনা, ত্রাণ দুর্নীতির অভিযোগে কাঠগড়ায় রাজ্য সরকার। দলের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে ত্রাণ কারচুপির অভিযোগে রাজ্য রাজনীতিতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে বিজেপি। দুর্নীতিগ্রস্থ নেতাদের বিরুদ্ধে শোকজের নোটিশ দিয়েছে তৃণমূল সরকার।
প্রসঙ্গত, কয়েক মাস পরই বিহারের নির্বাচন। অন্যদিকে বাংলায় ২০২১-র বিধানসভা নির্বাচন। সবমিলিয়ে রেশন বন্টনকে কেন্দ্র করে রাজনীতির গন্ধই পাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। রেশন বন্টন নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "উনি কেন এসব বলছেন! আাগামী বছর জুন মাস পর্যন্ত উনি থাকবেন না। লকডাউনের সময়ে গরিব মানুষের খাবারের দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে। এটা আইন।"