শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ঘটনাটি ঘিরে সমালোচনার ঝড় রাজ্য রাজনীতিতে। গতকালের ঘটনার পর এইট বি বাসস্ট্যান্ডের সামনে বিক্ষোভে বসে এসএফআইয়ের সমর্থকেরা। পরে অবশ্য নিত্যযাত্রীদের চাপে সেই পথ অবরোধ তুলে দেয় তাঁরা। অন্যদিকে সুকান্ত সেতুতে পাল্টা প্রতিবাদ মিছিল বের করে তৃণমূল। আগামী সোমবার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বামেরা। এরই মাঝে রবিবার ফের প্রতিবাদ মিছল বের করল সিপিআইএম ও এসএফআইয়ের নেতাকর্মীরা। মিছিলের নেতৃত্ব দেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সেই সঙ্গে মিছিলে অংশ নেন আহত পড়ুয়ারাও।

শিক্ষামন্ত্রীর গ্রেফতারির দাবি জানান সেলিম

যাদবপুরের বিশৃঙ্খলার ঘটনায় সেলিম এদিন বলেন, বাংলার মানুষ সর্বদা গনতান্ত্রিক অধিকারের পক্ষে ছিল। ক্যাম্পাসের মধ্যে সেই অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। ছাত্রদের দমানোর চেষ্টা করছেন রাজ্যের মন্ত্রীরা। এরকম ঘটনা আগে কখনও বাংলার মানুষ দেখেছে? শিক্ষামন্ত্রীকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি এবং তাঁর পদত্যাগের দাবি জানানো হচ্ছে।

দেখুন মহম্মদ সেলিমের বক্তব্য

শনিবারের যাদবপুরের ঘটনা

প্রসঙ্গত, গতকাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবকুপারের বার্ষিক সমাবেশে যোগ দিতে যান রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। আর এদিন তাঁর আসাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস চত্বরে সকাল থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। তিনি আসার পর এসএফআই-রা প্রতিবাদ দেখাতে শুরু করেন। যদিও এসএফআই নেতৃত্বের দাবি ছিল তাঁরা কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু করার দাবি জানাচ্ছিলেন। যদিও এই প্রতিবাদের মাঝেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ব্রাত্য বসু। অন্যদিকে তাঁর গাড়ির ঘায়ে আহত হয়েছেন প্রতিবাদীরা, এমনটাই অভিযোগ এসএফআইয়ের