সিপিএমের পতাকা( credit-IANS)

কলকাতা, ২৯ ফেব্রুয়ারি: আর স্লোগানে স্লোগানে মিছিলে আবদ্ধ থাকা নয়। যুদ্ধ শেষে লড়াই জারি রাখতে হলে শারীরিকভাবেও শক্তিশালী হতে হবে। তাই নিয়ম করে শরীর চর্চার ভাবনা এনেছে রাজ্য সিপিএম। দলীয় সদস্যদের জন্য প্রতি বছরই প্রায় নিয়ম করে ‘পার্টি চিঠি’ প্রকাশ করে সিপিএম (CPIM)। তাতে মূলত উল্লেখ থাকে সাংগঠনিক কাজের কথা। সম্প্রতি ২০২০ সালের ১ নম্বর পার্টি চিঠি প্রকাশ করেছে রাজ্য সিপিএম। সেখানে ৩২ পাতার বইটির ৩১ নম্বর পাতায় কর্মীদের শারীরিক প্রশিক্ষণের (Fitness Training) জন্য পেশাদার ট্রেনার রাখার কথা লেখা হয়েছে।

দ্য ওয়াল-র খবর অনুযায়ী, কয়েক বছর ধরে মতাদর্শগত বিষয় চর্চার জন্য সিপিএমের পার্টি স্কুল বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ক্ষমতায় থাকার সময়ে যে নেতারা রাজনৈতিক পড়াশুনার চাইতে সমবায় সমিতির ভোট বা স্কুল পরিচালন সমিতির নির্বাচনকে বেশি গুরুত্ব দিতেন, তাঁদেরই আফসোস করে বলতে শোনা যায়, শুধু ভোটেই দলীয় কর্মীদের গুণগত মানের রেখাচিত্রের পতন হয়েছে। এখন বিভিন্ন জেলায় পার্টি স্কুলের কাজকর্মে কড়া নজর রাখছে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী। ওই নথিতে লেখা হয়েছে, “রাজ্যে পার্টি স্কুলকে ব্যবহার নিশ্চিত ভাবে করা হবে। দর্শন, অর্থনীতি, রাজনীতির উন্নততর অনুশীলনের ব্যবস্থা এই কর্মীদের জন্য করতে হবে।” আরও পড়ুন, দিল্লি সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে দেশদ্রোহিতা মামলার দ্রুত বিচারের কথা জানালেন কানহাইয়া কুমার

চিঠিতে লেখা হয়েছে, “শারীরিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রাখতে হবে। যে কোন ধরনের পরিস্থিতির মোকাবিলায় সক্ষম এমন ধরনের কর্মী বর্তমান সময়ে প্রয়োজন। প্রয়োজনে কিছু পেশাগত প্রশিক্ষকের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।” গত কয়েক বছরে বাংলায় বেড়েছে আরএসএস-এর শাখা। সঙ্ঘে শরীরচর্চার রীতি রয়েছে। এবার খানিকটা তাদের পথেই হাঁটলো লাল দূর্গ।