ফের দলবদল,  বিজেপিতে যোগ দিলেন নোয়াপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক সুনীল সিং
প্রতীকী ছবি(Photo Credit: IANS)

কলকাতা, ১৭জুন: কোনও ঢাক ঢাক গুর গুর নয়, বেশ বোঝা যাচ্ছিল আচমকা নোয়াপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক সুনীল সিং (Sunil Singh) দিল্লি কেন যাচ্ছেন। সন্ধ্যায় এল দলবদলের সেই খবর, দিল্লির দীনদয়াল মার্গে অবস্থিত বিজেপির সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মধ্যেই গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নেন সুনীল-সহ গারুলিয়া পুরসভার ১৩জন কাউন্সিলর। কান টানলে যেমন মাথা আসে তেমনভাবেই অর্জুন সিংয়ের হাত ধরে একে একে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন নেতাস্থানীরা। লোকসভা ভোটপর্যন্ত ভগ্নীপতি সুনীল কেন শ্যালক অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) ছত্রছায়ায় গেলেন না তানিয়েও আলোচনা চলছিল। আরও পড়ুন-কথা রাখলেন, পরিবহ মুখোপাধ্যায়কে দেখতে হাসপাতালে পৌঁছালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

অনেকেরই মনে হয়েছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব ছেড়ে কোথাও যাবেন না সুনীল। তবে সেই আশায় জল ঢেলে দিয়ে এদিন ড্যাং ড্যাং পদ্মশিবিরে নাম লেখালেন তৃণমূলের এই বিধায়ক। এই সেদিনও কাঁচরাপাড়ার কর্মিসভায় তৃণমূলের মঞ্চ আলো করে ছিলেন সুনীলবাবু। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেদিন নৈহাটি যান, সেদিনও নেত্রীর সঙ্গেই তাঁকে দেখা গিয়েছে। সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই একেবারে রং বদলে ফেললেন সুনীল সিং। সুনীল বিজেপি-তে যাওয়ার পরই নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক তাঁকে ‘গদ্দার’ বলে তোপ দেগেছেন। পাল্টা দিল্লি থেকে সুনীল বলেন, “গদ্দার পার্থ ভৌমিক নিজে। কারণ উনি মানুষের সঙ্গে গদ্দারি করেছেন।” এ দিনের যোগদান পর্বে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়, অর্জুন সিং। ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন বলেন, “এতো সবে শুরু হল। কত বিধায়ক আসবে শুধু দেখতে থাকুন।”

প্রসঙ্গত, বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের রাজনীতিকে যাঁরা খুব কাছ থেকে দেখেন, তাঁদের অনেকেরই মতে, যত দিন যাচ্ছে, তত প্রকট হচ্ছে এই অঞ্চলের তৃণমূল নেতৃত্বের সাংগঠনিক দুর্বলতা। ক্রমশ ছড়াচ্ছে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যাওয়ার হিড়িক। ভাটপাড়ায় তৃণমূলকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এদিন সুনীলও গেলেন বিজেপি-তে। যা দেখে অনেকেই বলছেন, এই সে দিনও যে দলটার নামে বাঘে-গরুতে এক ঘাটে জল খেত, সেই দলটাই কেমন অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে! এই প্রসঙ্গে অর্জুন সিং বলেন, “দিদিমণির বাজার পড়ে গিয়েছে। আমি তো আগেই বলেছিলাম, আমি একা নই। গারুলিয়ার পর আশেপাশের পুরসভাও কোমর বেঁধেছে। কালকে বনগাঁ। তারপর ব্যারাকপুর, উত্তর ব্যারাকপুর, খড়দহ—সব চলে যাবে তৃণমূলের হাত থেকে।”