কথা রাখলেন, পরিবহ মুখোপাধ্যায়কে দেখতে হাসপাতালে পৌঁছালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়( File Photo)

কলকাতা, ১৭জুন: নবান্নে জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor’s)সঙ্গে বৈঠকের একেবারে শেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, লক্ষ্মী ছেলেরা কাজে যোগ দাও। তোমরা কাজ করছ না বলেই অসুস্থ ডাক্তার ভাইটিকে দেখতে যেতে পারছি না। তোমরা কাজে যোগ দেওয়ার কথা চূড়ান্তভাবে জানালে আমিও যেতেপারি। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রীকে এনআরএস হাসপাতালে (NRS Hospital)আসার জন্য আমন্ত্রণ জানান, বৈঠকে উপস্থিত জুনিয়র ডাক্তাররা। অচলাবস্থা কাটতেই আহত ইন্টার্ন পরিবহ মুখোপাধ্যায়কে দেখতে মল্লিকবাজারের ইনস্টিটিউট অফ নিউরো সায়েন্সের(Mallickbajar Institute of Neuron Science) উদ্দেশে রওনা হয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। আরও পড়ুন-Doctor’s strike in West Bengal: কথা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অচলাবস্থা তুললেন এনআরএসের- জুনিয়র ডাক্তাররা

সোমবার বৈঠক শেষেই বলেছিলেন স্ট্রাইক উঠলেই পরিবহকে দেখতে যাবেন তিনি, সেই কথাই রাখলেন। এদিন ডাক্তারদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পরেই নবান্ন থেকে মল্লিকবাজারের ওই হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে পড়েন তিনি। তবে পর্যবেক্ষকদের মতে, এই বৈঠকটাই যদি গত মঙ্গলবার বা  বড় জোর বুধবারই হতো, অর্থহীন জেদাজেদি না হতো তাহলে সারা রাজ্যের মানুষকে এক সপ্তাহ ধরে দুর্ভোগ পোয়াতে হতো না। চলত না এত চাপানউতোরও।

উল্লেখ্য, এদিনই ১২ দফা দাবি নিয়ে রাজ্যের সবকটি মেডিক্যাল কলেজ এবং ডেন্টাল কলেজের ৩১ জনের একটি প্রতিনিধি দল বিকেল তিনটে চল্লিশ নাগাদ নবান্নে ঢোকেন। সঙ্গে দু’জন সিনিয়র ডাক্তার সুকুমার মুখোপাধ্যায় এবং অভিজিৎ চৌধুরি। সেই বৈঠকেই একের পর এক দাবি জানাতে থাকেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা। প্রায় সব দাবিই মেনে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। একেবারে শেষ লগ্নে জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন, “ম্যাডাম, ডাক্তারদের উপর আক্রমণের ঘটনা নিয়ে আপনি একটা স্ট্রং ওয়ার্ড বলুন।” এরপরই মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের উদ্দেশে বলেন, “আমি তো অলরেডি স্ট্রং ওয়ার্ড বলেছি। তোমরা বলো, আমায় কী ওয়ার্ড বলতে হবে। কী স্ট্রং ওয়ার্ড বললে তোমরা খুশি হবে। আমি সেটাই বলব।”

বৈঠক সফল হতেই আক্রান্ত ইন্টার্ন পরিবহ মুখোপাধ্যায়কে দেখতে যাওয়ার রাস্তা খুলে যায়। বৈঠকে উপস্থিতি জুনিয়র ডাক্তারদের কথা দেন, আজই পরিবহকে দেখতে মল্লিকবাজারের নিউরো সায়েন্স হাসপাতেল যাবেন। খুব শিগগির তিনি সেখানে পৌঁছে যাবেন। শোনা যাচ্ছে ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি পরিবহর চিকিতসার যাবতীয় ভার নিতে পারে রাজ্য। গোটা ঘটনায় খুশি রাজ্যের হাসপাতালগুলি ও ডাক্তাররা। স্বস্তির ছাপ রোগীর পরিজনদের মুখেও।