কলকাতা, ১৭জুন: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) আশ্বাস পেয়ে লাগাতার কর্মবিরতির আন্দোলন তুলে নিলেন এনআরএস-এর জুনিয়র ডাক্তাররা। জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor’s) যাবতীয় দাবি আগেই মেনে নিয়ে ভিডিও কনাফারেন্সের মাধ্যমে এনআরএসের আন্দোলনরত পড়ুয়া ও ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠক সেরেই ফেললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলাবাহুল্য বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে, আন্দোলনরত ডাক্তারদের উপরে কোনওরকম হামলা হলেই সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নেবে সরকার, পুলিশ প্রশাসন। তার আগে হামলা যাতে না ঘটে সেটাই নিশ্চিত করবে সরকার। আরও পড়ুন- তৃণমূল সরকারের মাল্টি অরগ্যান ফেলিওর হয়েছে, এবার যাবে, NRS প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ বিজেপি নেতার
মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরেই কার্যত ধর্মঘট তোলার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন নবান্নের বৈঠকে হাজির জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিরা। তবে এখনও বাকি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। আর মুখ্যমন্ত্রীও জানিয়ে দিয়েছেন, ধর্মঘট উঠে গেলেই বিক্ষোভাকারীদের দাবি মতো তিনি আহত চিকিৎসক পরিবহ মুখোপাধ্যায়কে দেখতে যাবেন।
এদিনের বৈঠক ডাক্তারদের নিরাপত্তার খাতিরে রাজ্য সরকার বেশকিছু নতুন বিধিনিয়ম চালু করতে চলেছে। এগুলি হল, ভবিষ্যতে এই ধরনের হামলার ঘটনা যাতে না ঘটে, সে দিকে নজর রাখবে প্রশাসন। যদি ঘটেও থাকে, তা হলে সঙ্গে সঙ্গে কড়া পদক্ষেপ। গোটা রাজ্য একটি জরুরিভিত্তিক নম্বর এবং ই-মেল আইডি চালু করা হবে যেখানে বিপদে পড়লে চিকিৎসকরা জানাবেন। নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যাপারে পুলিশ পদক্ষেপ না করলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে সাসপেন্ড। হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নে যে যে প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ হয়েছে, সেগুলি কী পরিস্থিতিতে রয়েছে, কতটা অগ্রগতি হয়েছে, তা যাচাই করা হবে। রোগী কল্যাণ সমিতিতে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা হবে। অনেক সরকারি হাসপাতালে গেট নেই। সর্বত্র গেট তৈরি হবে। জরুরি বিভাগে থাকবে একটি করে কোলাপসিবল গেট। তার ভিতরে দু’জনের বেশি রোগীর আত্মীয় ঢুকতে পারবে না। চিকিৎসকদের উপরে আক্রমণ ঠেকাতে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেবে সরকার। রোগীদের আত্মীয়দের জন্য সরকারের যে গ্রিভ্যান্স সেল বা অভিযোগ গ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে, সেগুলিকে আরও সক্রিয় ও দৃশ্যমান করা হবে। চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে কলকাতা ও জেলায় জেলায় একজন করে নোডাল অফিসার রাখবে পুলিশ।