তৃণমূল সরকারের মাল্টি অরগ্যান ফেলিওর হয়েছে, এবার যাবে, NRS প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ বিজেপি নেতার
প্রতীকী ছবি(Photo Credit: IANS)

কলকাতা, ১৪জুন:  “মমতার সরকারের মাল্টিঅর্গান ফেলিওর (Multi organ Failure) হয়েছে, এবার চলে যাবে।” জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন প্রসঙ্গে মুখ খুলে এভাবেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার   (Joyprakash Majumder) । জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের জেরে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়েছে। শহর কলকাতায় প্রায় কোনও হাসপাতালেই পরিষেবা পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। রাজ্যের অন্যান্য হাসপাতালেও পরিস্থিতি প্রায় একই। ৪ দিনেও এই অচলাবস্থা কাটল না। উল্টে পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। আরও কঠোর অবস্থান নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আরও পড়ুন- রাস্তার বখাটে ছেলেরা তৃণমূলে এলে চাকরি দেব, কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

এরপরেই শুক্রবার এক সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিস্থিতির অবনতির জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করেন জয়প্রকাশবাবু। তিনি বলেন, “এই আন্দোলনকে চিকিৎসক বনাম রোগীর লড়াইয়ের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। সরকারের অন্তিম সময় এসে গিয়েছে। চলে যাওয়ার আগের পর্ব চলছে। ছাত্ররা কথা বলতে চায়নি বলে উনি এমন আচরণ করছেন। উনি বলছেন, আমি কেন যাব?  ওঁর দম্ভের জন্যই এই পরিস্থিতি। উনি নিজেকে কী মনে করছেন? উনি বলছেন আমি এতগুলো মেডিক্যাল কলেজ করে দিয়েছি। কার টাকায় করেছেন উনি। এই টাকা কালীঘাট থেকে আসেনি। গরু পাচার, সোনা পাচারের টাকা থেকে আসেনি। এই টাকা রাজ্যের সাড়ে ন’কোটি মানুষের করের টাকায় করেছেন। সব কিছুতে এই ‘আমি করেছি’ ‘আমি করেছি’র দম্ভ কবে বন্ধ করবেন মুখ্যমন্ত্রী?  প্রশ্ন তুলেছেন জয়প্রকাশ।’’

গণ ইস্তফা দিচ্ছেন একের পর এক সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। পথে নেমে প্রতিবাদ মিছিলে পা মিলিয়েছেন বিদ্বজ্জনরা। প্রায় সারা দেশেই মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন। সরকারের সবক্ষেত্রে অচলাবস্থা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। রোগীর শেষ সময় উপস্থিত হলে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে যেতে বলে। কেননা ততক্ষণে শরীরের অঙ্গগুলি এক এক করে কাজ করা বন্ধ দিচ্ছে। রাজ্যের অবস্থাও এখন তাই। আর এই গোটা পরিস্থিতির জন্য তৃণমূলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করেছেন জয়প্রকাশবাবু।