কলকাতা, ১৭ মে: প্রায় ৬ ঘণ্টা পর নিজাম প্যালেস (Nizam Palace) থেকে বেরিয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। "আদালতই সিদ্ধান্ত নেবে", বলে বেরিয়ে জানান মুখ্যমন্ত্রী। ঘণ্টাখানেক ধরে ভারচুয়াল শুনানি হয়। অনলাইনেই পেশ হয় চার্জশিট। মোট ৫ জনের নাম চার্জশিট (Chargesheet) পেশ হয়। চার্জশিটে নাম রয়েছে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়-সহ আইপিএস এসএমএইচ মির্জারও। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা রুজু করা হয়। চারজনই প্রভাবশালী, সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন বলে আদালতে যুক্তি সিবিআই (CBI) আইনজীবীর। ধৃতদের ১৪ দিন জেল হেফাজতের আবেদন করে।
রাজ্যের তরফে আইনজীবী পালটা দাবি করেন, ফিরহাদ হাকিম কোভিড পরিস্থিতি সামলাতে বড় ভূমিকা নিয়েছেন, তাঁকে জামিন দেওয়া না হলে কলকাতা অসহায় হয়ে পড়বে। সিবিআই আদালতে রায়দান আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। আরও পড়ুন, 'রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে, নৈরাজ্য চলছে', মমতা বন্দোপাধ্যায়কে তোপ রাজ্যপালের
"Court will give the decision," says West Bengal CM Mamata Banerjee as she leaves from CBI office. pic.twitter.com/qJxiGDln7h
— ANI (@ANI) May 17, 2021
আজ নারদা মামলায় (Narada Scam Case) ৪ জন তৃণমূল (TMC) নেতা, মন্ত্রী গ্রেফতার হন। এর পর থেকেই কলকাতা-সহ আরও কিছু জেলায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূলের কর্মী, সমর্থকেরা। সকাল থেকে নিজাম প্যালেসের সামনে বিক্ষোভ দেখান সমর্থকেরা। সকাল থেকে কার্যত শহরজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
নিজাম প্যালেসের ১৫ তলায় তৃণমূলের চার নেতা তথা রাজ্যের দুই মন্ত্রীকে গ্রেফতার করে পৃথক ঘরে রাখা হয়। সিবিআই হানার খবর পেয়ে সকালেই ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তারপরে সেখান থেকে সটান চলে যান নিজাম প্যালেসে। ১৫ তলার ভিজিটরস রুমে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।