Nabanna Abhijan, Kunal Ghosh (Photo Creditrs ANI, X)

ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড। রাজপথ জুড়ে রক্তাক্তি অবস্থা। আরজি কর হাসপাতালে মহিলা জুনিয়র পড়ুয়া চিকিৎসকের খুন এবং ধর্ষণের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পদত্যাগের দাবিতে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল 'পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ' নামের একটি সংগঠন। তবে সেই সংগঠনের আড়ালে মূল কলকাঠি যে বিজেপি নাড়ছে তা নিয়ে শুরু থেকেই স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে শাসক শিবির। যদিও বিজেপি পালটা জানিয়েছিল, আন্দোলনকারীদের সবরকম সাহায্য তাঁরা করবে। মঙ্গলবার সকাল থেকে নবান্নের পথে নিরাপত্তার দুর্গ গড়ে তোলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। আনা হয় বড় বড় কন্টেনার। ব্যারিকেট করে প্রস্তুত রাখা হয় জলকামান, কাঁদানে গ্যাস। বেলা বাড়তেই আন্দোলনকারীরা হামলে পড়ে ব্যারিকেটের উপর। ভাঙার চেষ্টা চলে পুলিশের দুর্গ। এরপরে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। ছোঁড়া হয় একের পর এক কাঁদানে গ্যাস। সেই সঙ্গে ধেয়ে আসতে শুরু করে জলকামান।

পুলিশ এবং আন্দোলনকারীদের মধ্যে শুরু হয় ধ্বস্তাধস্তি। মিছিল থেকে পুলিশ বাহিনীর উদ্দেশ্যে ছোঁড়া হয় ইট পাটকেল। ইটের আঘাতে এক পুলিশ আধিকারিকের মাথায় ছোট লাগে বলে জানা যাচ্ছে। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই পুলিশ আধিকারিককে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আকট হয়েছে বহু আন্দোলনকারী। রাজপথের এমন রণক্ষেত্র দৃশ্য দেখে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বললেন, 'নবান্ন অভিযানের নামে গুণ্ডামি, অরাজকতা। ব্যারিকেড ভেঙে নবান্ন যাওয়ার আবদারে হামলা'। ছাত্র সমাজের এই কর্মসূচিকে চক্রান্ত বলে মন্তব্য করেছেন কুণাল। তিনি রাজ্যবাসীর কাছে এও জানতে চান, এই চক্রান্ত কি সমর্থন যোগ্য?

কুণালের টুইট... 

এক দিকে নবান্ন অভিযান ঘিরে রাজপথে বিশৃঙ্খলার চিত্র অন্য দিকে আগামীকাল বনধের ডাক দিল বিজেপি। বুধবার ২৮ অগাস্ট বিজেপির তরফে বনধের ঘোষণা করা হয়েছে। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত বাংলা বনধ ডাকা হয়েছে। তবে এই বনধের নামা হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিল নবান্ন।