কলকাতা, ১০ নভেম্বর: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের (Bihar Assembly Elections Results) ফল ঘোষণা চলছে। ফল ঘোষণা শেষ হতে মাঝরাত হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই সব সমীক্ষাকে ভুল প্রমাণ করে সংখ্যাগরিষ্ঠ জোট হিসেবে সরকার গড়ার পথে এনডিএ (NFA)। একক দল হিসেবে এগিয়ে বিজেপি (BJP)। এগজিট পোলকে ফুৎকারে উড়িয়ে বিহারে ফের ক্ষমতায় ফিরছে নীতীশ কুমার-বিজেপি জোট? নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ১ কোটির উপরে ভোট গণনা হয়ে গেছে। তাতে সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছে বিজেপি-জেডিইউ জোট। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২৪৩ আসনের মধ্যে ১২৯টি আসনে এগিয়ে এনডিএ। ইতিমধ্যেই কয়েকটি আসন তারা ঝুলিতে পুরে নিয়েছে। অন্যদিকে মহাজোট এগিয়ে ১০৩টি আসনে।
প্রতিবেশী রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের পরই সামনের বছর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন (West Bengal Assembly election 2021)। বিহার নির্বাচনের ফল কীভাবে প্রভাব ফেলবে এরাজ্যের নির্বাচনে? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, বিহারের ভোটে বিজেপি ধাক্কা খেলে এ রাজ্যে তৃণমূল যে উৎসাহিত হবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু তাতে বিজেপির কী প্রভাব ফেলবে? দল এক হলেও প্রতিটি রাজ্যে নির্বাচনের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা ইশু কাজ করে। তৃণমূল শিবির মনে করছে, বিহারে হারলে বিজেপি অবশ্যই ধাক্কা খাবে। প্রমাণ হয়ে যাবে, মোদী-ম্যাজিক আর কাজ করছে না। যদিও এখনও পর্যন্ত ফলের গতিপ্রকৃতি যা তাতে সেই দাবি ধোপে টিকছে না। কারণ বিহারে একক দল হিসেবে এখনও পর্যন্ত বিজেপিই সব চেয়ে বেশি আসনে এগিয়ে। গেরুয়া শিবির এগিয়ে ৭৫ আসনে।আরও পড়ুন: Bihar Assembly Elections Results 2020 Live News Updates: বিহার বিধানসভা ভোটের লাইভ ফলাফল, ৬টি আসনে জয়ী বিজেপি, ২টি করে আসনে জয়ী জেডিইউ, আরজেডি
এদিকে বিহারে বিজেপির সাফল্যের পিছনে আসাসউদ্দিন ওয়াইসির দলকে দায়ী করেছে কংগ্রেস। ভোট কাটাকাটির খেলাতেই বিহারে বিজপি সাফল্য পেয়েছে বলে মনে করেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, বিহার নির্বাচনে আসাদউদ্দিন ওয়াইসি সাহেবের দলকে ব্যবহার করার বিজেপির কৌশল এক পর্যায়ে সফল হয়েছে। সকল ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলিকে ভোট কাটার সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।"
গত সপ্তাহে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রবীণ নেতা বিজেপি নেতা অমিত শাহ পশ্চিমবঙ্গে এসেছিলেন দু'দিনের সফরে। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, মে মাসে রাজ্যে দুশোর বেশি আসন নিয়ে সরকার গড়ব বিজেপি। শাহ পশ্চিমবঙ্গের জনগণকে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ-কে সুযোগ দেওয়ার আবেদন জানান। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে তিনি বলেন যে পশ্চিমবঙ্গ ২০১০ সালে তৃণমূল কংগ্রেসকে (টিএমসি) রাজ্য দিয়েছিল, কিন্তু এর সমস্ত প্রতিশ্রুতি ফাঁকা প্রমাণিত হয়েছে এবং মানুষের আশা হতাশায় পরিণত হয়েছে। এখানে লক্ষণীয় যে, দলীয় সভাপতি জে পি নড্ডার পরিবর্তে অমিত শাহ পশ্চিমবঙ্গ সফর করেছেন, এটিই ইঙ্গিত দেয় যে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গক হালকা ভাবে নেবে না। কাটমানি, শাসকদলের নেতাদের দুর্নীতি সহ নানা ইশুতে তারা সরকারকে চেপে ধরবে ও ভোটারদের কাছে যাওয়ার জন্য এগুলিকেই কাজে লাগাতে চাইবে।