কলকাতা, ২১ মে: কোথাও বাড়ির চাল উড়ে গিয়ে পড়ে রয়েছে, কোথাও ইলেকট্রিকের পোস্ট রাস্তায় পড়ে। আবারও কোথাও গাছের ভারে ছিঁড়েছে বিদ্যুতের তার। আজ সকালে কলকাতা সহ রাজ্যের ছবিটা ঠিক এই রমক। আম্ফান ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Amphan) ধ্বংসলীলার ছাপ। দক্ষিণবঙ্গ তছনছ করে দিল কয়েক ঘণ্টার ঘূর্ণিঝড়। গতিতে আয়লাকেও ছাপিয়ে গেল আম্ফান। কলকাতায় ঘূর্ণিঝড়টির সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় ১৩৩ কিলোমিটার। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ১০-১২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। কলকাতায় (Kolkata) প্রাণ গেছে তিন জনের।
ঝড়ের সময়ে রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকায় পাঁচিল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলা ও তাঁর ছেলের। তবে তাঁদের নাম জানা যায়নি। অন্যদিকে তালতলা থানা এলাকার নুর আলি লেনে জলে বিদ্যুতের তার পড়ে থাকায় তড়িদাহত হয়ে মহম্মদ তৌহিদ এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় বন্ধ বিদ্যুৎ সংযোগ। উপড়ে গেছে খুঁটি। অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ বন্ধ রেখেছে সিইএসসি। জমে থাকা জলও নামানো যাচ্ছে না সেই কারণে। আরও পড়ুন: Cyclone Amphan: আম্ফান ঘূর্ণিঝড়ের কারণে রাজ্যে ১০-১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে: মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি
Restoration work by National Disaster Response Force (NDRF) personnel underway at Airport Road in Kolkata, West Bengal: SN Pradhan, Director General of National Disaster Response Force #CycloneAmphan pic.twitter.com/wVmiiTNOjl
— ANI (@ANI) May 21, 2020
গতকাল নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, "দুই ২৪ পরগনা ধ্বংস করে দিয়েছে। এলাকার পর এলাকা ধ্বংস। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। প্রশাসন ৫ লাখ মানুষকে সরাতে পেরেছে। ১৭৩৭ সালে এমন ভয়ঙ্কর ঝড় হয়েছিল। ওয়ার রুমে বসে আছি আমি। নবান্নে আমার অফিস কাঁপছে। একটা কঠিন পরিস্থিতির যুদ্ধকালীন মোকাবিলা করলাম। নন্দীগ্রাম, রামনগর এলাকায় বড় ক্ষতি। দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনা প্রায় ধ্বংস ঝড়ের দাপটে। মোট ক্ষতি এখনও হিসেব করা যায়নি। অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ নেই, জল নেই। পাথরপ্রতিমা, নামখানা, কাকদ্বীপ, কুলতলি, বারুইপুর, সোনারপুর— সব জায়গায় ধ্বংসের ছবি। রাজারহাট, হাসনাবাদ, সন্দেশখালি, গোসাবা, হাবড়া সব জায়গাই বিপর্যস্ত।"