কলকাতা, ২০ মে: আম্ফান ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Amphan) কারণে রাজ্যে ১০-১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (CM Mamata Banerjee)। নবান্নে (Nabanna) কন্ট্রোল রুমে তিনি আম্ফানে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে বলতে গিয়ে একথা জানান। তিনি বলেন, "রাজ্যে ১০-১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। বেশিরভাগই গাছ পড়ে। একেবারে সব ছারখার করে দিয়েছে আম্ফান।" তিনি জানান, হাওড়া, হুগলি, দুই পরগনা, দুই মেদিনীপুরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। এখনই রিলিফ ক্যাম্প ছেড়ে নাগরিকদের না যাওয়ার আবেদন করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমার সহায্য করব। ৩-৪ দিন লাগবে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব পেতে। যারা রিলিফ সেন্টারে আছে তাদের দেখতে হবে। সব কাজ দেখতে ১০-১২ দিন লাগবে। যোগাযোগ ব্যবস্থাটা পুরো ভেঙে গেছে। সব জলে জলে একাকার।"
মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা বলেন, "আমরা কাল বৈঠকে বসব প্রাথমিকভাবে সব জানতে। দক্ষিণবঙ্গে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। আমাদের কর্মীরা অনেক জায়গায় পৌঁছতে পারবে না। তাই ৩-৪ দিন সময় লাগবে।" আরও পড়ুন: Cyclone Amphan: ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তাণ্ডবে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৩ জনের মৃত্যু
আম্ফান ঘূর্ণিঝড়ের কারণে রাজ্যে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আগে জানা গেছিল।। হাওড়ায় (Howrah) মৃত্যু হয়েছে ১৩ বছরের এক কিশোরীর। হাওড়ায় রাজ কিশোর চৌধুরি লেনে টিন উড়ে এসে আঘাত লেগে মৃত্যু হয় লক্ষ্মী কুমারী নামে ওই কিশোরীর। অন্যদিকে ঝড়ের দাপটে গাছ পড়ে মৃত্যু হয়েছে মিনাখাঁর বাসিন্দা এক মহিলার। মৃত ৫৬ বছরের নুরজাহান বেহেরা। বসিরহাটে বাড়িতেই গাছ চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। মৃতের নাম মহন্ত দাস।
বসিরহাটের এসডিও বিবেক ভাসমে জানিয়েছেন, অন্তত সাড়ে ৫ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।"