কলকাতা, ২০ মে: আম্ফান ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Amphan) কারণে রাজ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাওড়ায় (Howrah) মৃত্যু হয়েছে ১৩ বছরের এক কিশোরীর। হাওড়ায় রাজ কিশোর চৌধুরি লেনে টিন উড়ে এসে আঘাত লেগে মৃত্যু হয় লক্ষ্মী কুমারী নামে ওই কিশোরীর। অন্যদিকে ঝড়ের দাপটে গাছ পড়ে মৃত্যু হয়েছে মিনাখাঁর বাসিন্দা এক মহিলার। মৃত ৫৬ বছরের নুরজাহান বেহেরা। বসিরহাটে বাড়িতেই গাছ চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। মৃতের নাম মহন্ত দাস। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী এই নিয়ে রাজ্যে ৩ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।
আমফানের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত কলকাতা (Kolkata)। একাধিক জায়গায় উপড়ে পড়েছে গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি। এখনও পর্যন্ত কলকাতায় ২৭টি জায়গায় গাছ উপড়ে পড়েছে। রাস্তা থেকে গাছ সরানোর কাজে নেমেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও কলকাতা পৌরনিগম। আমফানের প্রভাবে বৃষ্টিতে ভাসছে শহর কলকাতা। গত ১১ ঘণ্টায় গড় বৃষ্টির পরিমাণ ৬৩.২৯ মিলিমিটার। আরও পড়ুন: Cyclone Amphan Update In Kolkata: উপকূলে আছড়ে পড়েই তাণ্ডবে মত্ত আম্ফান ঘূর্ণিঝড়, কলকাতায় চলছে ধ্বংসলীলা
Removal of uprooted trees amidst the storm by Kolkata Traffic Police. @CPKolkata #StayHomeStaySafe #WeCareWeDare pic.twitter.com/AlZQZCVVz4
— DCP Traffic Kolkata (@KPTrafficDept) May 20, 2020
এদিকে জেলাতেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে চলছে প্রবল বেগে ঝড়। কচুবেরিয়ার জেটি সম্পূর্ণভাবে ভেঙে গেছে। কাকদ্বীপ, কৈখালি, কুলতলি, পাথরপ্রতিমায় একের পর এক নদীবাঁধ ভেঙে পড়েছে। যার কারণে ভাসতে চলেছে বহু গ্রাম। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কিছু এলাকার কাঁচা বাড়ি। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে গোসাবার ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে এখনও পর্যন্ত ৫০ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে এনেছে প্রশাসন। কুলতলি থেকেও ১০ হাজার মানুষকে সরিয়ে আনা হয়েছে।