কলকাতা, ২০ মে: কলকাতায় আম্ফান ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Amphan) প্রায় ১০৫ কিলোমিটার বেগে বইছে। দীঘা উপকূলে ঝড়ের গতিবেগ ১৪০-১৫০ কিমি। কলকাতায় ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই ঝড়ের গতিবেগ বাড়বে। ইতিমধ্যেই আম্ফানের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত কলকাতা। একের পর এক গাছ ভেঙে পড়ছে রাজপথে। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, বিধানসড়ণিতে ভেঙেছে গাছ। ট্রাম্প লাইনের তার ঝুলছে বিপজ্জনকভাবে। কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের সিগন্যাল পোস্ট ভেঙে পড়েছে। বর্ণপরিচয় মার্কেটের সামনে গাছ ভেঙে পড়ায় ঠনঠনিয়া কালীবাড়ির রাস্তাকে আটকে দিয়েছে। সেখানে এখনই হাঁটুজল। কলকাতা থেকে এখন ৫০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে আম্ফান ঘূর্ণিঝড়।
রবীন্দ্র সড়ণি ও মহত্মা গান্ধী রোডের সংযোগ স্থলে জমেছে জল। গড়িয়াহাটে ট্রাফিক সিগনালের পোস্টে ভেঙে পড়ল গাছ। ঝড় ও বৃষ্টির দাপট সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে। নিউমার্কেটে দোকানের ছাউনি উড়ে গিয়েছে। যত সময় যাবে পরিস্থিতি আও খারাপের দিকে এগোবে। পশ্চিম পুটিয়ারিতে বাড়ির কার্নিশ ভেঙে পড়ল। শহরজুড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে আম্ফান ঘূর্ণিঝড়। গাছ পড়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছে পূর্ণ দাস রোড ও জেমস লং সড়ণি। দেশপ্রিয় পার্ক ও শরৎ বোস রোডের সংযোগ স্থলে গাছ ভেঙে পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়েছে। একাধিক গাছ পড়ে সাদার্ন অ্যাভিনিউর দুদিকের রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। লেক রোড লেক কালীবাড়ির সামনে গাছ ভেঙে পড়েছে। হয়তো করোনার ভয়ে মানুষ রাস্তায় নেই কিন্তু ধ্বংসলীলার ক্ষেত্রে কোথাও কমতি নেই। গোটা দক্ষিণ কলকাতাতেই একের পর এক গাছ ভেঙে পড়ছে। বিপজ্জনকভাবে ঝুলছে বিদ্যুতের তার, বিদ্যুতের পোস্ট, ট্রাফিক সিগনাল। এই পরিস্থিতিতে গাছ সরিয়ে রাস্তা বের করার উপায় নেই কেননা সময়ে সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ঝড়ের তাণ্ডব। ট্যাংরা, বেহালা, চাঁদনীচকে গাছ ভেঙে পড়ল। ইমএম বাইপাসে একের পর এক হোর্ডিং উড়ে এসে পড়ছে। আরও পড়ুন-Cyclone Amphan Update: প্রবল রোষে উপকূল ছুঁয়ে স্থলভাগে আছড়ে পড়ছে আম্ফান ঘূর্ণিঝড়, বিপর্যস্ত বাংলা
Cyclone nearing landfall..very heavy rains lashing Kolkata now #CycloneAmphan pic.twitter.com/JbhE1DjU4x
— Anand (@anandprasad805) May 20, 2020
কলকাতা লাগোয়া হাওড়া, হুগলি, ও দুই ২৪ পরগনায় ঝড়ের দাপট চলছে পুরোদমে। বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। শ্রীরামপুরে বাড়ির উপরে ভেঙে পড়লে গাছ। কাকদ্বীপে উড়ে গেল বাড়ির চাল। চার ঘণ্টার মধ্যেই স্থলভাগে তাণ্ডব দেখাতে শুরু করবে আম্ফান ঘূর্ণিঝড়। তবে তার আগেই যে খেল দেখাচ্ছে তাতে বিপদ বাড়ছে বই কমছে না।