কলকাতা, ২৫ ফেব্রুয়ারি: এ বছরে বৃষ্টির পাল্লাটা একটু বেশিই ভারী। তাই পশ্চিমী ঝঞ্ঝার চোখরাঙানি হোক বা ঘূর্ণাবর্তে উঁকি, বৃষ্টি একেবারে কোমর বেঁধে নেমে পড়ছে। রবিবার দুপুরের পর থেকেই রোদ্দুরে স্বাভাবিক তেজ উধাও হয়েছিল। সোমবার দুপুর থেকে ছিটেফোঁটার আভাস মঙ্গলবার একেবারে বৃষ্টি মুখর দিনের সূচনা করল। বঙ্গোপসাগরের জোলো বাতাসে বৃষ্টি এল রাজ্যে (West Bengal)। এদিন সকাল থেকেই আকাশের মুখভার। সাতটা বাজতে না বাজতেই শুরু হয়ে গেল ফোঁটায় ফোঁটায় বৃষ্টি। বেলা যত গড়াচ্ছে বৃষ্টির রেশ তত বাড়ছে। আলিপুর হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, বিহার ও ঝাড়খণ্ডের উপরে ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে, তার জেরেই এই বৃষ্টিপাত। পুবালি এবং পশ্চিমি বাতাসের সংঘাতে আরও শক্তিশালী হয়েছে এই ঘূর্ণাবর্ত।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, মঙ্গলবার ও বুধবার আবহাওয়ার কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। আগামী কাল পাহাড় থেকে সমতল সব জায়গাতেই বৃষ্টি হবে। আকাশকে মুড়েই রাখবে মেঘ।তবে বৃষ্টি শেষে নতুন করে ঠান্ডা পড়ার সুযোগ আর নেই। মেঘলা আকাশের কারণে দিনের তাপমাত্রা কমলেও, তাতে শীত ফেরার আশা নেই। তবে এই দুর্যোগের প্রভাব উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হবে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের উপর একটি রয়েছে। তার জেরে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প উঠে আসছে স্থলভূমিতে। ওই ঘূর্ণাবর্ত জলীয় বাষ্প টেনে নেওয়ায়, দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আরও পড়ুন-West Bengal Government Job: একাধিক শূন্যপদে রাজ্য সরকারের কর্মী নিয়োগ, ইচ্ছুক প্রার্থীরা শীঘ্রই আবেদন করুন
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাঞ্চলীয় ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বৃষ্টির পরিমাণ সোমবারের তুলনায় বাড়বে। বেশিরভাগ জায়গাতেই হাল্কা বৃষ্টি হবে। কোথাও কোথাও মাঝারি বৃষ্টিও হবে। বুধবারও সকালের দিকে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জায়গায় হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। তুলনায় বৃষ্টি বাড়বে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। মূলত দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে। সেই ডিসেম্বর থেকে নানা ছুতোনাতায় বৃষ্টি চলছে। বর্ষবরণের উৎসবে জল ঢাললো, তারপর সরস্বতী পুজো, শেষে বইমেলা। বাঙালি ভেবেছিল বইমেলার সঙ্গে দুর্যোগও বুঝি এখনকার মতো বিদায় নিয়েছে। শীত নিয়ম মতো বিদায় নিয়েছে। তবে বৃষ্টি ফের ফিরলো, কিন্তু বসন্ত বর্তমান থাকায় এবার আর শীতকে সঙ্গে পাচ্ছে না অকাল বৃষ্টি।