Photo Wikepedia

আমেরিকান স্পেস এজেন্সি নাসা জানিয়েছে গভীর মহাকাশ থেকে একটি রহস্যময় সংকেত পেয়েছে পৃথিবী। ১৪০ মিলিয়ন মাইল দূর থেকে নাসার নতুন মহাকাশযান সাইকি থেকে এসেছে এই সংকেত। ২০২৪ সালের অক্টোবরে একটি মহাকাশ অভিযান শুরু করে নাসা। 'সাইকি ১৬' নামের একটি গ্রহাণুর দিকে পাঠানো হয় একটি মহাকাশযান। বলা হয় যে এই গ্রহাণুটির অবস্থান মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহের মধ্যবর্তী গ্রহাণু বেল্টে। এছাড়াও, গ্রহাণুর পরে সাইকি নামের এই রোবোটিক এক্সপ্লোরারের নতুন মিশন ছিল লেজার যোগাযোগ পরীক্ষা করা।

সাইকি একটি ডিপ স্পেস অপটিক্যাল কমিউনিকেশনস সিস্টেম, যার উদ্দেশ্য হল মহাকাশে দূর দূরান্তে লেজার যোগাযোগ সক্ষম করা। সাইকির রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ট্রান্সমিটারের সঙ্গে ইন্টারফেস করার মাধ্যমে লেজার কমিউনিকেশন ডেমো সফলভাবে ইঞ্জিনিয়ারিং ডেটা প্রেরণ করেছে ১৪০ মিলিয়ন মাইল দূরে থেকে, যা পৃথিবী এবং সূর্যের মধ্যেকার দূরত্বের ১.৫ গুণ। দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির প্রজেক্ট অপারেশন চিফ বলেছেন, ৮ এপ্রিল প্রায় ১০ মিনিটের নকল মহাকাশযানের ডেটা ডাউনলিংক করেছে, এই নকল ডেটা লেজার যোগাযোগের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়েছিল।

নাসার অপটিক্যাল যোগাযোগ প্রদর্শন প্রমাণ করে দিয়েছে যে এটি ফ্লাইট লেজার ট্রান্সসিভারের কাছাকাছি ইনফ্রারেড ডাউনলিংক লেজার ব্যবহার করে পরীক্ষার ডেটা প্রেরণ করতে পারে সর্বোচ্চ ২৬৭ এমবিপিএস হারে। এর গতি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট গতির মতো। তবে মহাকাশযানের দূরত্বের কারণে ডেটা ট্রান্সমিশন রেট কমে যায়। ৮ এপ্রিল করা পরীক্ষার সময়, মহাকাশযানটি সফলভাবে সর্বাধিক পরীক্ষার ডেটা প্রেরণ করেছে ২৫ এমবিপিএস হারে। এই দূরত্বে ১ এমবিপিএস প্রমাণ করার লক্ষ্য অতিক্রম করেছে। জানা গেছে, মঙ্গল এবং বৃহস্পতির মধ্যেকার সাইকি ১৬ গ্রহাণুর দিকে যাওয়ার কারণে সাইকি স্থিতিশীল এবং স্বাস্থ্যকর।