
হাতের স্মার্ট ফোনটিতে আচমকা একটা অদ্ভুত শব্দ (Emergency Alert)। আগেও যে শব্দ শুনেছেন অনেকেই। মোবাইলে সাধারণ মেসেজ কিংবা অন্যান্য নোটিফিকেশনের চেয়ে সেই শব্দ একটু আলাদা, উদ্ভত। খানিকটা অ্যালার্ম বাজলে যেমন আওয়াজ হয়। দেশজুড়ে বহু অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের ফোনেই আজ শুক্রকার বেলা ১২টা ১৯ মিনিট নাগাদ বেজে উঠেছে এক ইমার্জেন্সি অ্যালার্ট। যা দেখে ঘাবড়ে গিয়েছেন কমবেশি সকলেই। বিগত বেশ কিছু দিন ধরেই এমন ঘটনা ঘটছে। যা ঘিরে উদ্বিগ্নতা ছড়াচ্ছে দেশবাসীর মনে। অনেকেই ভাবছেন তাদের ফোন বোধ হয় হ্যাক হয়েছে। কী এই ইমার্জেন্সি অ্যালার্ট? কেন পাঠানো হচ্ছে সতর্কতা?
উদবিগ্ন হওয়ার মত কোন বিষয় এই ইমার্জেন্সি অ্যালার্টে নেই। এটি ভারত সরকারের পাঠানো একটি পরীক্ষামূলক বার্তা। যা টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের সেল ব্রডকাস্টিং সিস্টেমের মাধ্যমে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের পাঠানো হচ্ছে। যা ফোনে ঢুকতেই ফ্ল্যাশ জ্বলে উঠছে, ভাইব্রেট করে অ্যালার্মের মত বাজতে থাকছে ফোন। তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার মত কোন বিষয় নেই। ফোনে দেখানো বার্তাটির 'OK' বোতামটি ক্লিক করলেই সঙ্গে সঙ্গে অ্যালার্ম বন্ধ হয়ে যাবে।

কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বিপর্যয় আসন্ন হলে তার সতর্কবার্তা যাতে দ্রুত এবং কার্যকর উপায়ে নাগরিকদের কাছে পৌঁছয় তা পরীক্ষা করে দেখেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরে। জুলাই মাস থেকে ধাপে ধাপে এই পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ভারত সরকারের টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই প্রয়াস নিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য হল জরুরি সময়ে দেশের নাগরিকদের সতর্ক করা।