২৩ জুন বিশ্বজুড়ে পালন করা হয় আন্তর্জাতিক অলিম্পিক দিবস। সারা বিশ্বের খেলোয়াড়দের একজোট করা হয় অলিম্পিকের এই বিশেষ দিনে। সারা বিশ্বের খেলাধুলা ও স্বাস্থ্যের সঙ্গে যুক্ত মানুষ অংশগ্রহণ করে এই দিন। এই বিশেষ দিনে সারা বিশ্বে আয়োজন করা হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের। খেলাধুলা, স্বাস্থ্য এবং নিজের উন্নতির জন্য ১৮৯৪ সালের ২৩ জুন প্রতিষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি। উৎসবের মতো পালিত হয় এই দিনটি।

চেক আইওসি সদস্য ড. গ্রাস স্টকহোমে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির ৪১ তম অধিবেশন চলাকালীন বিশ্ব অলিম্পিক দিবসের বিষয় উঠে আসে। কয়েক মাস পর ১৯৪৮ সালের জানুয়ারিতে, সেন্ট মরিটজে আইওসি-র ৪২ তম অধিবেশনে অলিম্পিকের বার্তা এবং মূল উদ্দেশ্য পালনের জন্য একটি দিন আলাদা করার প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়। এরপর জাতীয় অলিম্পিক কমিটিগুলিকে দায়িত্ব দেওয়া হয় এই অনুষ্ঠান আয়োজনের।

১৯৪৮ সালের ২৩ জুন প্রথমবার পালিত হয় অলিম্পিক দিবস। কানাডা, সুইজারল্যান্ড, গ্রেট ব্রিটেন, পর্তুগাল, গ্রিস, অস্ট্রিয়া, উরুগুয়ে, ভেনিজুয়েলা ও বেলজিয়াম নিজ নিজ দেশে বিশেষভাবে আয়োজন করা হয় এই দিনটি। বর্তমানে একটি ছোট দৌড়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, একটি বিশাল আয়োজনে পরিণত হয়েছে অলিম্পিক দিবস। বিশ্বজুড়ে জাতীয় অলিম্পিক কমিটিগুলি 'মুভ', 'লার্ন' এবং 'ডিসকভার'-এই তিনটি স্তম্ভের ভিত্তিতে বয়স, লিঙ্গ, সামাজিক পটভূমি বা খেলাধুলার ক্ষমতা নির্বিশেষে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় এই দিন। কিছু দেশ স্কুল পাঠ্যক্রমেও অন্তর্ভুক্ত করেছে এই বিষয়। এমন পরিস্থিতিতে শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক সবাই অংশ নিতে পারে অলিম্পিক দিবসে।