ভারতীয় ফুটবলের ভালোবাসার কেন্দ্র হল কলকাতা। সারা দেশে ফুটবল এখন নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরি করলেও কলকাতার ডার্বি এই শহরের হৃদস্পন্দন। দুই প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানকে হল এখানকার আবেগ। আজকের দিনে কলকাতা সেজে ওঠে 'লাল ও হলুদ' কিংবা 'সবুজ ও মেরুন' রঙে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই কলকাতা ডার্বি শুধু দু'পক্ষেরই নয়, তাদের সমর্থক শিবিরেরও রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। উভয় পক্ষই অতীত ও সাম্প্রতিক ফলাফলের ক্রমাগত স্মরণ করিয়ে দেবে এক অপরকে।
এই মরসুমে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের উচ্ছ্বাস কিছুটা কম তাঁর কারণ স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইনের দলের আইএসএলে অবস্থান প্রায় টেবিলের তলানিতে। তাঁদের দাবী, ভারতের প্রাক্তন কোচ শুরুতে মরসুমের প্রস্তুতির জন্য কম সময় দিয়েছিলেন, যা শেষ পর্যন্ত খেলোয়াড়দের প্রভাবিত করে এবং টিমের হাল করুণ হয়ে যায়। খেলা যত এগোচ্ছে, ইস্টবেঙ্গলের বিশ্বস্তরা ততই নিজেদের দল নিয়ে কম মাথা ঘামাতে শুরু করেছে। কর্তাদের অযোগ্যতা ও মালিকানার ঘন ঘন পরিবর্তন ক্ষোভের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, মোহনবাগানের অবস্থা ইস্টবেঙ্গলের চেয়ে ভালো কিন্তু লিগ পর্বের শেষার্ধে খারাপ পারফরম্যান্স কিছুকে উদ্বিগ্ন করেছে। ক্লাবটির পরিচয় নিয়ে হতাশ কিছু সমর্থক 'এটিকে' সরিয়ে দিতে দেওয়ার ডাক দিয়েছে, যদিও এর সঙ্গে খেলার কোনো যোগ নেয়।
আজকের জয় এটিকে মোহনবাগানকে শীর্ষ চারের স্থান নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে। অন্যদিকে, আজকের জয়ে ইস্টবেঙ্গলের লিগে কোনো প্রভাব ফেলবেনা, জামশেদপুর এফসি-কে সরিয়ে নবম স্থানে উঠে আসতে পারবে তাঁরা। এই মরসুমে ২৯ অক্টোবর কলকাতায় ইন্ডিয়ান সুপার লিগে তাদের আগের সাক্ষাতে, সল্টলেক স্টেডিয়ামে প্রায় ৬২ হাজার সমর্থক ম্যাচ দেখতে আসে। সেই ম্যাচে হুগো বোউমাস ও মনবীর সিংহের গোলে ইস্টবেঙ্গলকে সহজেই হারিয়ে দেয় এটিকে মোহনবাগান।