করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বিশ্বজুড়ে বেশ কয়েকটি ক্রীড়া ইভেন্ট স্থগিত বা বাতিল হয়ে যায়। কয়েকটি ক্রিকেটে টুর্নামেন্টও বাতিল করতে হয়। বাতিল হয়ে যায় এশিয়া কাপ ২০২০। এবারের এশিয়া কাপের হোস্টিং রাইটসের অধিকারী ছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তারা আগামী বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের ও ২০২২ সালের এশিয়া কাপ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আপডেট দিয়েছে। পিসিবি-র সিইও ওয়াসিম খান জানিয়েছেন, ২০২১ সালের জুনে শ্রীলঙ্কা এশিয়া কাপের আয়োজক হবে এবং ২০২২ সালের আয়োজক পাকিস্তান। তিনি বলেন, "পরবর্তী এশিয়া কাপ জুনে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হবে এবং ২০২২ এশিয়া কাপের জন্য আমরা এখন হোস্টিংয়ের অধিকার পেয়েছি।"
মূল সময়সূচি অনুসারে, ২০২০ সালের অগাস্ট-সেপ্টেম্বরে পাকিস্তান এশিয়া কাপের আয়োজন করত। তবে কোভিড -১৯ মহামারীর কারণে এশিয়া কাপ আয়োজন করা যায়নি। ২০২১ সালের জুনের এশিয়া কাপ আয়োজনের রাইটস শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট পিসিবি-র কাছ থেকে নিয়েছিল। ক্ষতিপূরণ হিসাবে, পিসিবি ২০২২ সালের হোস্টিংয়ের অধিকার পেয়েছে। আরও পড়ুন: BCCI 89th AGM: ২৪ ডিসেম্বর বিসিসিআই-র এজিএম, অলিম্পিকে ক্রিকেট ও নতুন আইপিএল দল মূল্য আলোচ্য বিষয়
পাকিস্তানে যাতে আরও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ করা যায়, তার জন্য পাকিস্তান বোর্ড চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। চেষ্টায় তারা কিছুটা সফলও হয়েছে। জিম্বাবুয়ে, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা দল পাকিস্তান সফর করেছে। পূর্ণাঙ্গ এশিয়া কাপের হোস্টিংয়ের বিষয়টি অবশ্য ভারতীয় ক্রিকেট দলের যোগ দেওয়ার বিষয়টিতে জড়িত। ভারত ছাড়াও আরও কয়েকটি দল ও খেলোয়াড়রা পাকিস্তানে ক্রিকেট খেলার বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। পিসিবি অবশ্য ২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলকে দেশে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের জন্য রাজি করাতে পেরেছে। আগামী বছর ইংল্যান্ডও পাকিস্তানে খেলতে যেতে পারে। এশিয়া কাপের ২০২০ স্থগিত না হলে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে এই ইভেন্টটি হওয়ার কথা হয়েছিল কারণ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এই টুর্নামেন্ট খেলতে পাকিস্তান যেতে অস্বীকার করেছিল। ২০২২ সালেও ভারতীয় দল যে পাকিস্তানে খেলতে যাবে সেই সম্ভাবনাও খুব একটা দেখা যাচ্ছে না।