করোনাভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত চিন। গৃহবন্দী, স্কুল, কলেজ, রাস্তাঘাট বন্ধ। চারিদিক নিস্তব্ধ। ইতিমধ্যে সেখানে ৮০ হাজার মানুষ আক্রান্ত। করোনার করাল গ্রাস থেকে মানুষকে উদ্ধার করতে নাজেহাল চিন সরকার। হ্যান্ডশেক করা নিষেধ, চুমু খাওয়াও নিষেধ। এমনকি পথ চলতে পরিচিত মানুষের সঙ্গে দেখা হলে হাত ধরে হাই, বাই করাও বারণ। তাই তারা এক অভিনব পন্থা বাছলেন। এটি রীতিমতো 'উহান শেক' (Wuhan Shake) হয়ে গেছে।
তারা পায়ে পায়ে করছেন 'ফুট শেক' (Foot Shake)। মানুষ থেকে মানুষেই ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস। করোনায় আক্রান্ত কারও হাঁচি বা কাশির সময়ে যদি মুখ না ঢাকেন তাহলে হাঁচি-কাশির সেই ছিটেফোঁটা থেকে ওই জায়গায় উপস্থিত যে কারও করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার অনেক সম্ভাবনা থাকে।গবেষকদের পরামর্শ, এই রোগের লক্ষণ ধরা পড়ার আগেই অন্য কারও শরীরে ছড়িয়ে পড়ে COVID-19 ভাইরাস।
আরও পড়ুন, করোনা আতঙ্কে তৎপর সরকার, 'চিন্তা করবেন না' বার্তা নরেন্দ্র মোদির
People in China found another way to greet since they can't shake hands.
The Wuhan Shake.
I love how people can adapt and keep a sense of humor about stressful situations. pic.twitter.com/P8MSfOdJ2H
— •*¨*•.¸¸✯*・🍃Ꮙ🍃•*¨*•.¸¸✯*¨ (@V_actually) February 29, 2020
সম্প্রতি চীনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে, দুই ব্যক্তি মুখে মাস্ক পরে একজন আরেকজনকে হ্যালো বলছেন। করোনা ছড়ানোর পর থেকে এটিকে ফুট গ্রিটিং বলেই আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এভাবেই চলছে একে অপরের সঙ্গে ফুটশেক। এই অভিনব দৃশ্য দেখছে সারা দুনিয়া। টুইটারে রীতিমতো ভাইরাল।
এদিকে ভারতে করোনা ত্রাসে কাঁপছে দিল্লি, নয়ডা, লখনউ এবং বেঙ্গালুরুও। ইতিমধ্যে দিল্লি ও তেলেঙ্গানায় আরও দু'জন আক্রান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আতঙ্ক করার কোনও কারণ নেই বলে জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। দেশবাসীকে নিজের সুরক্ষা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।