বিশ্বের বৃহত্তম আধ্যাত্মিক মেলা মহাকুম্ভ শেষের পথে হলেও কমছে না প্রয়াগরাজে পবিত্র স্নান করতে আসা ভক্তদের ভিড়। প্রতিদিন স্নানের নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। তথ্য অনুসারে, এখনও পর্যন্ত ৪২ কোটিরও বেশি মানুষ পবিত্র স্নান করেছেন। মহাশিবরাত্রির শেষ রাজকীয় স্নান অনুষ্ঠিত হবে মহাশিবরাত্রি তথা ২৬ ফেব্রুয়ারি। তবে মেলার পরিচালকদের মতে, মহা শিবরাত্রি পরবর্তী ৪ দিন পর্যন্ত চলবে মহা কুম্ভমেলা। গ্রহ ও নক্ষত্রপুঞ্জের গণনা অনুসারে, ১৪৪ বছর পর ২০২৫ সালে পালন হচ্ছে পবিত্র আধ্যাত্মিক মহাকুম্ভ মেলা। এই অনুষ্ঠানটি গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতীর পবিত্র সঙ্গমে হয়। বিশ্বাস করা হয় যে অমৃত কালে ত্রিবেণীতে আধ্যাত্মিক শক্তি প্রাধান্য পায়, এই সময়কালে স্নান‌‌ করলে সমস্ত পাপ ধুয়ে যায় এবং জীবনের শেষে মোক্ষ লাভ হয়।

সনাতন ধর্মে মহাশিবরাত্রি উৎসবের আধ্যাত্মিক গুরুত্ব রয়েছে। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, এই দিনে ভগবান শিব এবং দেবী শক্তির এক ঐশ্বরিক মিলন হয়। এই পবিত্র দিনে ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করলে আধ্যাত্মিক জ্ঞান, শান্তি এবং ভগবান শিবের বিশেষ আশীর্বাদ লাভ হয়। মেলা পরিচালনা কমিটির মতে, মহাশিবরাত্রির দিনে অমৃত স্নান করতে ইচ্ছুক ভক্তদের নীচে লেখা শুভ সময়ে স্নান করা উচিত। মহাশিবরাত্রির জন্য একটি বর্ধিত কর্মসূচিও এখানে দেওয়া হয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক মহা শিবরাত্রি দিন ও তার পরের দিনের শুভ সময় এবং পবিত্র স্নানের পদ্ধতি সম্বন্ধে বিস্তারিত।

মহা শিবরাত্রির দিন ব্রহ্ম মুহুর্ত থাকবে সকাল ০৫ টা থেকে ০৫:৪৮ মিনিট পর্যন্ত এবং অমৃত কাল থাকবে সকাল ০৭:২৮ মিনিট থেকে সকাল ০৯ টা পর্যন্ত। এছাড়া ২৭ ফেব্রুয়ারি অমৃত কাল থাকবে সকাল ০৬:০৩ মিনিট থেকে সকাল ০৭:৩২ মিনিট পর্যন্ত। মহাকুম্ভে অমৃতকালে স্নান করে সর্বাধিক আধ্যাত্মিক সুবিধা পাওয়ার জন্য ভক্তদের এই নির্দেশিকা অনুসরণ করা উচিত। ত্রিবেণীতে স্নান করার আগে, নাগা সাধু এবং সাধুদের স্নান শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত। ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করার পর সূর্যকে জল অর্পণ করে দরিদ্রদের খাদ্য, অর্থ বা পোশাক দান করে সাহায্য করা উচিত। মহাকুম্ভ স্নানের সময়, পবিত্র গঙ্গায় কমপক্ষে পাঁচটি ডুব দিতে হয়। স্নানের সময় সাবান-শ্যাম্পু ব্যবহার এড়িয়ে চলা উচিত এবং জল পরিষ্কার রাখা জরুরি।