দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়ে গিয়েছে বৃষ্টির মরসুম। তীব্র গরমের পর স্বস্তি নিয়ে আসে বৃষ্টি। কিন্তু এই স্বস্তির মধ্যেই ছড়াতে শুরু করে মশাবাহিত ভাইরাস। এমনই মশাবাহিত ভাইরাস বা রোগ হল ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু ও জিকা ভাইরাস। সম্প্রতি পাওয়া খবর অনুযায়ী, পুনের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীরা। জিকা ভাইরাস একটি সংক্রামক রোগ, তাই মশা আছে এমন জায়গা থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখার চেষ্টা করা উচিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, জিকা ভাইরাস একটি ফ্ল্যাভিভাইরাস, যা শুধুমাত্র এডিস ইজিপ্টি মশার কামড়ে ছড়ায়। এই মশা দিনের বেলা সক্রিয় থাকে।

বিশ্বে প্রথমবার উগান্ডার জিকা বনে এই ভাইরাস পাওয়া যায় ১৯৪৭ সালে, তাই এর নাম দেওয়া হয় জিকা ভাইরাস। তখন বানরদের মধ্যে দেখা গিয়েছিল এই রোগ। ১৯৫২ সালে উগান্ডায় মানুষের মধ্যে দেখতে পাওয়া যায় জিকার প্রথম কেস। ২০১৫-১৬ সালের মধ্যে জিকা ভাইরাসের অনেক ঘটনা দেখতে পাওয়া যায় ব্রাজিলে। ২০২৪ সালে ব্রাজিলে জিকা ভাইরাস নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে প্রায় ৪ হাজার শিশু। জিকা ভাইরাস ছড়ানো মশা থেকেই হয় ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া এবং হলুদ জ্বর রোগ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, জিকা ভাইরাসের উপসর্গ ২ থেকে ৭ দিনের মধ্যে দেখতে পাওয়া যায়।

জিকা ভাইরাস হলে ত্বকে লাল বা গোলাপী ফুসকুড়ি হতে পারে, মাথাব্যথা, হাত ও পায়ের জয়েন্টে ব্যথা, পেশী ব্যথা, চোখের জ্বালা, বা লালভাব, ক্লান্তি বোধ হয়। তবে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর মধ্যে কোনও উপসর্গ নাও থাকতে পারে। জিকা ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য বাড়ির ভিতরে বা আশেপাশের জায়গা পরিষ্কার রাখা উচিত। মশারি ব্যবহার করা এবং পুরো শরীর ঢাকা পোশাক পরা উচিত। কোথাও জল জমতে দেওয়া যাবে না। গর্ভবতী মহিলাদের নিয়মিত চেকআপ করাতে হবে। জিকা ভাইরাস মারাত্মক নয়, তবে এর ফলে হতে পারে কিছু গুরুতর সমস্যা।