ভারতীয় রান্নাঘরে প্রচুর ব্যবহৃত হয় কারি পাতা। বিশেষ করে বেশিরভাগ দক্ষিণ ভারতীয় খাবারে, মশলা হিসেবে ব্যবহৃত হয় এই পাতাটি। কারি পাতা ব্যবহার করে যেকোনও খাবারের স্বাদ বাড়ানো সম্ভব। অনেকে বাজার থেকে কারি পাতা কিনে আনেন আবার কেউ কেউ বাড়িতে টবে চাষ করেন কারি পাতা। এই পাতায় পাওয়া যায় ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, আয়রন, তামা, ভিটামিন এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো পুষ্টি উপাদান, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
প্রতিদিন সকালে ৩ থেকে ৪টি সবুজ পাতা চিবিয়ে খেলে অনেকভাবে উপকার হয় শরীরে। কারি পাতায় রয়েছে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান ভিটামিন এ, যা দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। কারি পাতা খেলে রাতকানা বা চোখের সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য অনেক রোগের ঝুঁকি কমে যায়। ডায়াবেটিস রোগীদের প্রায়শই কারি পাতা চিবানোর পরামর্শ দেওয়া হয় কারণ এতে রয়েছে হাইপোগ্লাইসেমিক বৈশিষ্ট্য, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কারি পাতা চিবায়ে খাওয়া উপকারী। হজমশক্তি উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি, পেট ফাঁপা সহ সমস্ত পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় কারি পাতা। এই পাতায় পাওয়া যায় অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিবায়োটিক বৈশিষ্ট্য, যা অনেক ধরণের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে এবং রোগের ঝুঁকি এড়ায়। কারি পাতায় রয়েছে ইথাইল অ্যাসিটেট, মহানিমবাইন এবং ডাইক্লোরোমিথেনের মতো পুষ্টি উপাদান, যা ওজন কমাতে এবং পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে।