প্রকৃতির কোলে পাহাড়ি গ্রাম দুয়ারসিনি (File Photo)

ছুটিতে ছোটাছুটি করবেন না তো কবে করবেন, তবে সেই ছোটাছুটি যদি হয় বেড়াতে যাওয়ার তাহলে তো সোনায় সোহাগা। সপ্তাহান্তে ছুটি মিলতেই ঝোলা কাঁধে বেরিয়ে পড়ুন দেখি মন এমনিই ভাল হয়ে যাবে। আমাদের বাংলায় দর্শনীয় স্থানের শেষ নেই শুধু খুঁজেপেতে যাওয়ার উদ্যোগ করতে হবে এই যা। করে ফেললেই হল, তারপর শুধু হারিয়ে যাওয়ার পালা। আজ টইটইয়ের পর্ব ১৩-তে রইল দুয়ারসিনির(Duarsini) গল্প।

দুয়ারসিনি(Duarsini)

এ যেন সৌন্দর্যের স্বপ্নপুরীতে প্রবেশের দরজা। ২৯৪ হেক্টরের প্রাকৃতিক জঙ্গলে ঘেরা দুয়ারসিনি। গভীর অরণ্যের মাঝেমাঝে ছোট ছোট টিলা। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথে হেঁটে পৌঁছে যেতে পারেন সাতগুরুম নদী(Satgurum River)।বসন্তে পলাশ ও শিমুলের রাঙা হয় দুয়ারসিনির আকাশ। সাঁওতাল, খেড়িয়া, মুন্ডা, শবরদের বাসভূমি দুয়ারসিনি। জঙ্গলপথ ধরে নীচে নামলে দেখতে পাওয়া যায় সাত ধারার সেই আশ্চর্য নদীকে। কাচের মতো স্বচ্ছ জল, ছোট ছোট মাছ খেলে বেড়াচ্ছে। এ নদীর বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নাম। কোথাও চাকিভাঙা, কোথাও আবার বলদডোবা।

নির্জনতার অনন্য ঠিকানা দুয়ারসিনি। যদি দুদিনের ছুটি উপভোগ করতে নির্জনতাকে সঙ্গী করতে চান তাহলে আপনাকে আসতেই হবে দুয়ারসিনি।হাওড়া থেকে ট্রেনে পুরুলিয়া, সেখান থেকে বাসে বান্দোয়ান। বান্দোয়ান থেকে ট্রেকারে বা গাড়িতে দুয়ারসিনি। কলকাতা থেকে বান্দোয়ান সরাসরি বাসেও আসা যায়। যাঁরা নিরিবিলিতে দু’-একটা দিন কাটাতে চান, তাঁদের পক্ষে আদর্শ জায়গা দুয়ারসিনি।এখানে থাকার জায়গা পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগমের বাংলো। বাংলো থেকে বেরিয়ে দেড় কিমি হাঁটলেই পৌঁছে যাবেন আসনপানি গ্রামে। সেখানে আদিবাসীদের বাস। আরও দূরে ঠেকাদহ, মেঘাদহ নামে সব আদিবাসীদের গ্রাম। জঙ্গলে হায়েনা, নেকড়ে, প্যাঙ্গোলিয়ান, বুনোশুয়োর, ময়ূর, প্রজাপতি ও নানা জাতের পাখি দেখতে পাওয়া যায়। মাঝে মাঝে এরা জল পানের জন্য নেমে আসে ধানক্ষেতে, জল খেতে। তাই এই ব্যবস্থা। ১৫৫ মিটার উঁচু হিলটপে আকাশ উদ্যানটি মনোরম।