আগমনির পোজে বঙ্গললনা (Photo Credit: Subhabrata Halder)

পুজো খিড়কি দুয়ারে কড়া নাড়ছে, আর বসে থাকার সময় নেই। এই বেলা শপিং সেরে ওই কদিনের খাবারের মেনুটা ঠিক করে নিতে হবে। আর পুজো আসছে তারজন্য ফেসবুক আলো করে থাকব না, তাতো হয় না। তাই ফেসবুকেও হতে হবে অনন্যা। কাশের বনে মা দুর্গা তো পুকুরের কোমর জলে পদ্মর গোছা হাতে একবারে রসকলি সাজে মা দুর্গা। পুরনো বাড়ির ঠাকুর দালান থেকে কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীর স্টুডিও। চিন্ময়ী দুগ্গামায়ের এই অবাধ পচদারণা তখনি সম্ভব হয় যখন একজন ঠিকঠাক চিত্রগ্রাহক এই অনন্য মুহূর্তকে লেন্সবন্দি করে ফেলেন। তাই পুজো আসছে, মানেই এখন আগমনীর ফোটো শ্যুটে সোশ্যাল মিডিয়া ভরে উঠেছে। ছোট্ট মাদুর্গারও কিন্তু অভাব নেই. তারাও বেশ সেজেগুজে পোজ দিতে শিখেছে।

মহালয়ার আগেই মায়ের আগমন ধ্বনি বাংলার আনাচে কানাচে সুপ্রিতী ঘোষের গানকে মনে করাচ্ছে। কত কিই না এখন পাচ্ছে, বন্ধুত্ব থেকে প্রেম, অনুরাগ থেকে পূর্বরাগ। এই তো সময় মন দেওয়ানেওয়ার তার প্রথম ধাপ হোক না আগমনীর ফোটোশ্যুটেই।সকলের নজর কাড়ার অদৃশ্য লড়াইয়ে জেন-ওয়াইয়ের হাতিয়ার ক্যামেরা। তাই অন্যান্য অনুষ্ঠানের মতোই প্রাকপুজোয়ও চিত্রগ্রাহকদের চাহিদা আকাশছোঁয়া। স্বাভাবিকভাবেই অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে বুকিং। ইতিমধ্যেই কলকাতা থেকে শুরু করে জেলা, সব জায়গাতেই শুরু হয়েছে আগমনি ফটোশ্যুট। আর এই সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে উপার্জনের পথ খুঁজে নিয়েছেন অল্পবয়সী চিত্র গ্রাহকরা।  এখন তো স্টাইল স্টেটমেন্টই সব পেশার শেষ কথা। সেখানে ছবির প্রসঙ্গ আসলে তো কথাই নেই। আরও পড়ুন-Durga Puja 2019: পুজো আসছে, রূপান্তরকামী ভারত সুন্দরী অ্যানি এবার উমার ভূমিকায় অবতীর্ণ

মডেল হওয়ার জন্য যাঁরা প্রস্তুত তাঁরা খরচের কথা মাথাতেই আনছেন না। বাঙালির দুগ্গাপুজো তো বছরে একবারই আসে। তাই এসব ভেবে দুঃখ পেয়ে লাভ নেই। শুধু  আনন্দ করে উপার্জনের পথটা বেছে নিন। এখন যদি আগমনীর ভাল মডেল হতে পারেন, কাল যে আপনি বিজ্ঞাবনী দুনিয়া মাতাবেন না কে বলতে পারে। একই ভাবে যাঁর লেন্স আপনাকে লোকসমক্ষে অনিন্দ্য সুন্দরী করে তুলেছে, তিনিও যে কাল রঘুরাইয়ের সঙ্গে কাজ করবেন না কেই বা বলতে পারে। জেন ওয়াইয়ের এই নতুন ট্রেন্ড একসঙ্গে চারজনকে কাজ দেবে। সঙ্গে মেকআপ আর্টিস্ট ও সেট ডিরেক্টরও থাকছে না। এতো পুরো একটা টিম, আসন্ন দুর্গাপুজো কাঁপাতে আর কী চাই।