ট্যান-পিগমেন্টেশন তাড়িয়ে জেল্লাদার ত্বক পেতে লেবুতেই ভরসা রাখুন
লেবু(Photo Credit: Pixabay)

ইচ্ছে থাকলেও নিয়মিত রূপচর্চার সুযোগ পায় আর কজনে। সংসার, অফিস, বাইরের হাজারটা কাজ সামলে যখন একটু সময় পাওয়া যায় ততক্ষণে দুচোখ জুড়ে ক্লান্তির ঘুম নেমেছে। সবার পক্ষে আবার নানারকম বিউটি প্রোডাক্টস(Beauty Products) কিনে রূপচর্চা করারও ফুরসত মেলে না। সব থেকে ভালো হয় যা সহজেই হাতের কাছে পাওয়া যায় এমন কিছু ঘরোয়া টোটকা দিয়ে নিজেকে লাবণ্যময়ী করে তোলা। এতে যেমন কোনওরকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ভয় নেই, তেমন রান্নাঘরে থাকাকালীনই প্রয়োজনীয় রূপটানটুকু সেরে ফেলতে পারবেন। নিজেরও যত্ন নেওয়া হল, সময় পয়সা কোনওটিরই অতিরিক্ত খরচ হল না। তেমনই একটি প্রয়োজনীয় উপাদান হল লেবু। শুধু ভাতের পাতে বা সরবতের সঙ্গে নয়, ত্বক ও চুলের যত্ন(Skin and Hair care) নিতেও লেবুর(Lemon) জুড়ি মেলা ভার।

লেবুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, মিনারেলস যেমন— ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম আছে। যে কোনওরকম সমস্যা যেমন অ্যাকনে, ব্রণ, র‌্যাশ, স্কিন ইনফেকশন, পিগমেনটেশন দূর করে দেয় লেবুর রস। ড্রাই স্কিনের জন্য কোনও ময়েশ্চারাইজার তৈরি করে তা লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে। যেমন লেবুর সঙ্গে গোলাপ জল(Rose Water), দই ও ঠান্ডা দুধ(Cold Milk) মিশিয়ে ক্লিনজার হিসাবে ব্যবহার করা যাবে। আবার যদি খুবই সেনসিটিভ স্কিন হয় বা ইরিটেশন হয় তাঁরা লেবুর রসের সঙ্গে অল্প জল বা গোলাপ জল মিশিয়ে ক্লিনজার হিসাবে ব্যবহার করুন।

অনেকের গলায়, হাঁটু, কনুইতে কালো ছোপ দেখা যায়। সেই জায়গায় মধুর সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে রোজ লাগানো যায় বা এক টুকরো লেবুর মধ্যে কয়েক ফোঁটা মধু ফেলে ১৫-২০ মিনিট ঘষা যায় তবে উধাও হয়ে যাবে কালো দাগ। এছাড়া ৩ ভাগ গোলাপ জলের সঙ্গে ১ ভাগ গ্লিসারিন মিশিয়ে তা ত্বকের ওপরের কালো ছোপের জায়গায় যদি নিয়মিত লাগানো যায় তবে ধীরে ধীরে পরিষ্কার হতে থাকবে। এমনকী এই পদ্ধতির মাধ্যমে ট্যান, পিগমেনটেশন, বয়সের ছোপ সবই ধীরে ধীরে দূর হয়ে গিয়ে ত্বক উজ্জ্বল হবে। অ্যাকনে থেকে যে দাগ থেকে যায় তাও দূর হবে লেবুর রসে। নিয়মিত লেবুর রস ব্যবহারে ড্রাই স্কিনের পিগমেনটেশন, ছোপ থেকে শুরু করে প্রেগনেন্সি ও ডেলিভারির স্ট্রেচমার্ক দূর হয়। কমবে। ঠোঁট ফাটা সারিয়ে কোমল ভাব ফেরাবে লেবুর রস। চুলের খুসকি দূর করতেও অদ্বিতীয় রান্নাঘরের এই উপদানটি।