What Is HMPV? (Photo Credits: X, Pixabay)

নয়া দিল্লি, ৬ জানুয়ারিঃ এক অতিমারি থেকে রেহাই মিলতে না মিলতেই অজানা এক ভাইরাসের হানা বিশেজুড়ে। কোভিড ১৯ এর (Covid 19) ক্ষত এখনও দগদগে। সেই ঘা পুরোপুরি শুকানোর আগেই চিন (China) থেকে ফের ছড়াল নতুন এক ভাইরাস HMPV। চিনের হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস ইতিমধ্যেই থাবা বসিয়েছে ভারতে। বেঙ্গালুরুর দুই শিশু এবং গুজরাটের এক শিশু আক্রান্ত হয়েছে চিনের এই রহস্যময় ভাইরাসে।

সোমবার, ৬ জানুয়ারি সকাকেই জানা যায়, ভারতে প্রথম Human Metapneumovirus-এ আক্রান্ত রোগীর হদিস মিলেছে। বেলা গড়াতে না গড়াতেই সেই সংখ্যা বেড়ে হয় তিন। কর্ণাটকের তিন মাস বয়সি এক শিশুর শরীরে এই ভাইরাসের সংক্রমণ মিলেছে। গুজরাটের দু মাস বয়সি এক শিশুও আক্রান্ত এই ভাইরাসে। সবচেয়ে চিন্তার বিষয় ওই তিন শিশুর বিদেশ যাওয়া কিংবা আসার কোন খবর নেই। যার ফলে চিকিৎসক মহলে চিন্তার ভ্রুকুটি তৈরি হয়েছে। তবে কি আরও একটা অতিমারির ঝড় ধেয়ে আসতে চলেছে গোটা বিশ্বের উপর? অজানা এইচএমপি ভাইরাস (HMPV) নিয়ে ক্রমশই বাড়ছে আতঙ্ক।

তবে ভারতের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, চিনের হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাসের সঙ্গে ভারতে তিন রোগীর শরীরে পাওয়া HMPV-র কোন যোগ নেই। তাহলে ওই তিন শিশু HMPV পজিটিভ হল কীভাবে? ঘনাচ্ছে রহস্য।

পশ্চিমবঙ্গের প্রথম সারির এক চিকিৎসক রহস্যময় Human Metapneumovirus সম্পর্কে জানাচ্ছেন, কোভিডের মত কোন ভয়ানক ভাইরাস এটি নয়। এই ভাইরাসের সঙ্গে প্রত্যেকেই অল্পবিস্তর পরিচিত। প্রতিবছরই শীতকালে ইনফ্লুয়েঞ্জা ও ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ে। জ্বর, সর্দি, কাশি, ঠাণ্ডা লাগা ঘরে ঘরের ঘটনা। এইচএমপিভি তেমনই এক ভাইরাস (HMPV)। এটি প্রাণঘাতী কোন ভাইরাস নয়। সাধারণত শিশুদের মধ্যে এইচএমপিভি খুব তাড়াতাড়ি সংক্রমণ ঘটায়। তাই এই শীতের মরসুমে বাড়ির খুদে সদস্যকে সবথেকে যত্নে রাখতে হবে।

কীভাবে শিশুদের HMPV থেকে দূরে রাখবেন?

  • যে সকল বাচ্চাদের দ্রুত ঠাণ্ডা লাগার ধাত কিংবা অ্যালার্জিজনিত সমস্যা আছে তাঁদের সাবধানে রাখুন। বাড়ির বাইরে মাস্ক পরানোর অভ্যাস করুণ।
  • বাইরে থেকে বাড়িতে এসে সোজা বাথরুমে গিয়ে জামা কাপড় পরিবর্তন করান। মুখ, হাত, পা ভালো করে সাবান দিয়ে ধুয়ে দিন। অভিভাবকেরা সচেতন না হলে অদৃশ্য ভাইরাস আপনার অজান্তেই আপনার বাড়িতে প্রবেশ করবে।
  • যে কোন সংক্রমণ রোধের একমাত্র উপায় হল পরিচ্ছন্নতা। খাওয়ার আগে ভালো করে সাবান কিংবা হ্যান্ড ওয়াস দিয়ে হাত ধুতে হবে। বাইরে থাকলে স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। জনবহুল এলাকায় মুখে মাস্ক পড়ার অভ্যাস ফিরিয়ে আনুন।