দিল্লি, ৫ সেপ্টেম্বর: বিয়ের পর স্বামী, স্ত্রীর পারস্পরিক সম্মতিতে দুজনের মধ্যে কেউ যদি সম্পর্কে জড়ান, তাহলে ভারতীয় আইনে কী বলা আছে। দুজনের সম্মতিতে যদি সম্পর্ক তৈরি হয়, তাহলে স্বামী, স্ত্রীর উপর আইনিভাবে কোনও দণ্ড নির্ধারিত হতে পারে কি না, তা নিয়ে ভারতীয় আইন কী বলছে দেখুন...
ব্যভিচার (ডিক্রিমিনালাইজেশন)
বিবাহিত সম্পর্কে থেকেও যদি কেউ অন্য সম্পর্কে জড়াতেন, তাহলে তাকে ব্যাভিচার হিসেবে গণ্য করা হত। এই ব্যাভিচারকে আগে আইন সম্মত হিসেবে ধরা হত। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৭-এর ধারায় ব্যাভিচারকে অন্যায় হিসেবে গণ্য করা হত। তবে ২০১৮ সালের একটি রায় দেওয়া হয় আদালতের তরফে। যেখানে ব্যাভিচার অন্যায় হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয় বলে আদালতের তরফে জানানো হয়। ব্যাভিচারকে যদি কেউ অপরাধ হিসেবে ধরলে, তাহলে তা অগণতান্ত্রিক। মানুষের সম্পর্কের ক্ষেত্রে যে ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, সেখানে হস্তক্ষেপ করা যাবে না বলেও জানানো হয় ২০১৮ সালের ওই রায়ে।
সিভিল ইমপ্লিকেশন
স্বামী, স্ত্রীর কেউ যদি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ান, তাহলে অন্যজন বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করতে পারেন। ব্যাভিচার হিসেবে গণ্য করেই ওই বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করা যেতে পারে।
পারস্পরিক সম্মতি
হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্ট অনুযায়ী, যদি বিচ্ছেদে দুজনই রাজি থাকেন, তাহলে তা সম্পন্ন হতে পারে। দুজনের সম্মতি থাকলে, বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা হবে না বলে জানানো হয় আদালতের তরফে।
আইনি বৈধতা
তবে বিবাহ বরির্ভূত সম্পর্কের কোনও আইনি বৈধতে ভারতীয় আইনে নেই। এই ধরনের সম্পর্ক বিচ্ছেদের মামলায় কোনও প্রভাব ফেলে না। এমনকী বিচ্ছেদের মামলা চলাকালীন শিশুর অধিকার কার কাছে যাবে, তার উপরও কোনও প্রভাব ফেলতে পারে না বলে ভারতীয় আইনে জাানানো হয়।
হেফাজত এবং ভরণপোষণের উপর প্রভাব
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জন্য স্বামী, স্ত্রী বিচ্ছেদের পথে থাকলে, সন্তানের ভাল যাঁর কাছ হবে, তাঁকেই ভার দেওয়া হয়। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ককে নজরে রাখলেও, সন্তানের ভরণপোষণ এবং মানসিক স্বাস্থ্য যাঁর কাছে ঠিক থাকবে, তাঁকেই দেওয়া হয় দায়িত্ব।