যোগী আদিত্যনাথ(Photo Credit: IANS)

লখনউ, ১৭ ডিসেম্বর: ফের জায়গার নতুন নামকরণের মেতেছে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকার। এবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে মেরঠ (Meerut)। কেননা সেখানকার নাম বদলে রাখা হবে পণ্ডিত নাথুরাম গডসে  নগর(Pandit Nathuram Godse Nagar)।  এই নাম আদৌ জনমত গ্রাহ্য হবে কি না তা জানতেই সংশ্লিষ্ট এলাকার জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে রাজ্য প্রশাসন। একইভাবে গাজিয়াবাদের নাম পাল্টে রাখা হবে মহান্ত দিগ্বিজয় নগর। হা পুর নাম বদলে হবে অবৈদ্যনাথ নগর। মুজাফ্ফরনগরেরও নাম বদলের কথা চলছে। তবে মেরঠ, গাজিয়াবাদ ও মুজাফ্ফরনগরের নাম বদলের সিদ্ধান্তে এখনও স্বস্তি পাচ্ছে না রাজ্য প্রশাসন। তাই এই তিন জেলার ডিএমের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। আরও পড়ুন-Nitish Kumar Missing: 'নিখোঁজ বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার', পাটনায় পড়ল পোস্টার

এদিকে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের যিনি গুরু রয়েছেন তিনি চান না হা পুরের নাম বদল হোক। তাই রাজ্য প্রশাসনের এই নাম বদলের হিড়িক থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে হা পুর। সেখানকার জেলা প্রশাসনের তরফে এই নাম বদলের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। এরপরই নাম বদলের ক্ষেত্রে বাকি তিন জেলার মতামত চেয়ে পাঠিয়েছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তর। আদৌ নাম বদল হবে কি হবে না তার রিপোর্ট তাড়াতাড়ি আসলে সুবিধা হয়। কেননা এই সংক্রান্ত মামলা বন্ধের সময় হয়ে এসেছে। কেন কী কারণে জায়গার নাম পরিবর্তনে বাধা আসছে। নাম বদল হলে জনগণ কি বড়সড় আন্দোলনে যেতে পারে। এই সংক্রান্ত বিশদ রিপোর্ট রাজ্য প্রশাসনের হাতে যত তাড়াতড়ি চলে আসে ততই ভাল। কেননা মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নামকরণের প্রসহ্গে বৈঠক ডাকলেই এই গড়িমসির কারণ নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন। তখন সংশ্লিষ্ট বিভাগের সরকারি কর্তাকেই তার জবাবদিহি করতে হবে।

এই প্রসঙ্গে যোগীর রাজ্যের এক সরকারি কর্তা জানিয়েছেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে নামকরণের অনুরোধ উপরোধ, দাবি আসতেই পারে। সরকারের কাছে এমন কোনও দাবি বা অনুরোধ এলে তা প্রথমে বিবেচনা করে দেখে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সেখান থেকে ইতিবাচক উত্তর মেলার পর দেখতে হবে নতুন নামটি আদৌ সে জায়গার ইতিহাসের সঙ্গে কোনওরকম যোগ আছে কি না। যদি থাকে তাহলে নামকরণ হতে পারে।