Migrant Workers gather to register for Shramik Train (Photo Credits: ANI)

গাজিয়াবাদ, ১৮ মে: পরপর দু’টি পথ দুর্ঘটনার পর পরিযায়ী শ্রমিকদের (Migrant Workers) নিজেদের রাজ্যে ফেরাতে কড়া পদক্ষেপ যোগী সরকারের। পায়ে হেঁটে, সাইকেলে কিংবা অন্য কোনও উপায়ে শ্রমিকরা নিজেদের রাজ্যে ফিরতে পারবেন না। সকলকে বাসে করে রেল স্টেশনে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করেছে সরকার। সেখান থেকে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে পরিযায়ী শ্রমিকেরা পৌঁছে যাবেন নিজেদের রাজ্যে।  উত্তরপ্রদেশ থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে ৩টি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের (Shramik Special Train) বন্দোবস্ত করেছে সরকার। সেই ট্রেনে ওঠার জন্য নাম লেখাতে ভিড়ে একাকার উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের রামলীলা ময়দান ( Ramlila Ground)। উত্তরপ্রদেশের নানা প্রান্ত থেকে তাঁরা ছুটে এসেছেন নাম লেখাতে। আরও পড়ুন: COVID-19: করোনাকে হারিয়ে কাজে ফিরলেন বউবাজারের ওসি, টুইটে রাজ্যের পুলিশকর্মীদের কৃতজ্ঞতা মমতা ব্যানার্জির 

সোমবার রামলীলা ময়দানে সরকারের তরফে নাম নথিভুক্তকরণের জন্য বেশ কয়েকটি কাউন্টার খোলা হয়। জেলা প্রশাসন এবং গাজিয়াবাদ প্রশাসনের তরফে বেশ কিছু আধিকারিক হাজির ছিলেন ঘটনাস্থলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন হয়েছে। কিন্তু তা স্বত্ত্বেও লকডাউনের নির্দেশিকা মানা সম্ভব হয়নি। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার নিয়মকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে হাজার হাজার শ্রমিক ভিড় জমান রামলীলা ময়দানে। রীতিমত একে অপরের গায়ের উপর উঠে চেষ্টা করে চলেছেন নিজের নিজের নাম নথিভুক্ত করানোর।

কারওর মুখে মাস্ক নেই। মহিলারা শাড়ির আঁচল আর কেউ কেউ একটা পাতলা রুমাল দিয়ে মুখ চাপা দিয়েই লাইনে দাঁড়িয়েছেন।এরফলে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ছে। শ্রমিকদের অভিযোগ, নাম নথিভুক্তকরণের এই পদ্ধতি যথেষ্ট কঠিন এবং সময়সাপেক্ষও। যার জেরে কেউ কেউ সরকারের বিরুদ্ধে অব্যবস্থারও অভিযোগ তুলেছেন। গত ১৬ মে ভোরে উত্তরপ্রদেশের আউরাইয়া জেলাগামী একটি ট্রাক এবং একটি ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষে ২৪ জন পরিযায়ী শ্রমিক মারা যান। এরপরই পরিযায়ী শ্রমিকদের সুষ্ঠভাবে বাড়ি ফেরাতে তৎপর সরকার।