গৌরী লঙ্কেশ (Photo Credit: ANI)

বেঙ্গালুরু, ১০ জানুয়ারি: সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ হত্যাকাণ্ডে (Gauri Lankesh Murder Case) নয়া মোড়। সাংবাদিকের হত্যার তদন্তে নিযুক্ত সিট বড়সড় সাফল্য পেয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। খুনের ষড়যন্ত্রকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম রুষিকেশ দেবদিকার মুরলী৷ সে ঔরঙ্গাবাদের বাসিন্দা। সাংবাদিক হত্যার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে তার জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। ঝাড়খন্ডের ধানবাদের কাতরা থেকে রুষিকেশকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ২০১৭-র পাঁচ সেপ্টেম্বর নিজের বেঙ্গালুরুর বাড়িতেই খুন হন সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ। এই ঘটনায় হিন্দুত্ববাদীদের দিকে অভিযোগের আঙুল ওঠে। জানা গিয়েছে, গৌরী লঙ্কেশকে খুনের পরই গা-ঢাকা দেয় রুষিকেশ দেবদিকার মুরলী৷ সাংবাদিক হত্যার তদন্তে সিট গঠিত হয়েছে। এই তদন্তকারী দল এখনও পর্যন্ত খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৬জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

সূত্রের খবর, এখন আরও দুই অভিযুক্তকে খুঁজছে তদন্তকারী দল। তারা এই খুনের ষড়যন্ত্রের চাঁই। সনাতন সংস্থা ও হিন্দু জনজাগৃতি সমিতির সঙ্গে এই দুজনের যোগাযোগের প্রমাণও মিলেছে। সাংবাদিক তথা সমাজকর্মী গৌরী লঙ্কেশের প্রতি খুনিদের কোনও ব্যক্তিগত রাগ ছিল না। তিনি হিন্দুত্ববাদীদের বিরুদ্ধে লিখতেন বলেই তাঁকে খুন করা হয়। খুনিরা সনাতন সংস্থা নামে এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্য। তাঁকে খুনের জন্য পাঁচ বছর ধরে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। ২৮ নভেম্বর ২০১৮ এই রিপোর্ট পেশ করে গৌরী লঙ্কেশ হত্যার তদন্তে গঠিত সিট। বেঙ্গালুরুর প্রিন্সিপাল সিভিল অ্যান্ড সেশনস কোর্টে ৯২৩৫ পাতার চার্জশিট জমা দেয়। তাতে বলা হয়েছে, খুনিরা গৌরী লঙ্কেশকে চিনত না। তাহলে তাঁকে খুন করল কেন? কারণ তিনি একটি বিশেষ মতাদর্শে বিশ্বাস করতেন। তিনি ভাষণে ও লেখায় সেই মতাদর্শ প্রচারের চেষ্টা করতেন। সেজন্য সনাতন সংস্থা নামে সংগঠনটি তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে। আরও পড়ুন-Bengal Governor Dhankhar Invites CM Mamata Banerjee: এক কাপ কফির সঙ্গে মমতা ব্যানার্জি, মুখ্যমন্ত্রীকে আলোচনায় ডাকতে টুইটারে আমন্ত্রণ রাজ্যপালের

২০১৭-তে যখন নিজের বাড়িতে সাংবাদিক তথা সমাজকর্মী গৌরী লঙ্কেশ খুন হন কর্ণাটকে তৎকালীন সিদ্দারামাইয়া সরকার। তদন্তের জন্য তৈরি করে স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম। এখনও পর্যন্ত ওই খুনের ঘটনায় ১৮ জন দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। জানা গিয়েছে, খুনের ছক যারা কষেছিল, তাদের নাম অমল কালে, সুজিত কুমার ওরফে প্রবীণ এবং অমিত দেগওয়েকর। গুলি করেছিল যে, তার নাম পরশুরাম ওয়াঘমারে। ওই লোকগুলিই অপর তিন যুক্তিবাদী বুদ্ধিজীবী এম এম কালবুর্গি, নরেন্দ্র দাভোলকর এবং গোবিন্দ পানসারেকে হত্যা করেছিল।