কফিহাউসে রাজ্যপাল(Photo Credit: Twitter)

কলকাতা, ১০ জানুয়ারি: গত জুলাইতে রাজ্যের সাংবিধানিক কর্তার পদে স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন জগদীপ ধনখর। তারপর থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্ব ক্রমাগত চলছে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি থেকে শুরু করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এই তালিকায় যে কি নেই তাই এখন ভাবতে হবে। কিছু ঘটলেই মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে কটাক্ষ করেই ফেলেন ধনখর। তাই তাঁদের সম্পর্ক অম্ল মধুর মোটেও নয়, রীতিমতো তিক্ততায় ভরা। রাজ্যের দুই সাংবিধানিক প্রধানের এহেন সম্পর্ক এখন সব জায়গার অন্যতম চর্চিত একটি বিষয়। জানুয়ারির সকালে সেই রাজ্যপালই কি না টুইটারে মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে কফি খাওয়ার আমন্ত্রণ জানালেন। কফি অবশ্যই কফি হাউসের হতে হবে। তাঁরা সেই কফি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দের জায়গায় বসে আলোচনা সারতে পারেন।

এদিন টুইচ বার্তায় তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কফি হাউসে বসে কফি খেতে খেতে আলোচনা করতে পারলে খুব খুশি হবেন। অতীতেও তিনি বহুবার এই একই ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। কিন্তু রাজভবনের অলিন্দ ছেড়ে বেরিয়ে এসে কফি হাউজের টেবিলে এই প্রথম আমন্ত্রণ জানালেন মুখ্যমন্ত্রীকে। তাছাড়া রাজ্যের উন্নয়নের জন্য় তাঁদের তো একসঙ্গে কাজ করতেই হবে।” আজ কফিহাউসে একেবারে খোস মেজাজে ছিলেন জগদীপ ধনখর। সাম্প্রতিক অতীতে তাঁকে এননটা হাসিখুশি দেখা যায়নি বলাই বাহুল্য। তাই তো কফি খেতে খেতে মুখ্যমন্ত্রীর নাম করতে একবারও ভুললেন না তিনি। মমতা ব্যানার্জিকে কফি হাউজের টেবিলে একসঙ্গে কফি খেতে আমন্ত্রণও জানান রাজ্যপাল। আরও পড়ুন-Raja Biscuit: বন্ধ হল রাজা বিস্কুটের কারখানা, কর্মহীন হয়ে পড়লেন প্রায় হাজার দুয়েক শ্রমিক

শুক্রবার দুপুরে ঐতিহাসিক কফি হাউসে এক সম্পূর্ণ অন্য মেজাজে পাওয়া গেল রাজ্যপালকে। রাজভবনের বাসিন্দা হওয়ার পর থেকেই প্রায় গোটা রাজ্য চষে ফেলেছেন তিনি। সে অতিথি হিসেবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানই হোক বা জেলা সফর, কলকাতায় ফিরে এসে মুখ ভার করে একরাশ অভিমান ঝরে পড়ে রাজ্যপালের গলায়। তবে শুক্রবার কফি হাউসে কাঠের চেয়ারে বসে কফির কাপে এক চুমুকেই সব অপমান, অভিমান যেন এক নিমেষে গলে জল হয়ে গেল। ঐতিহাসিক কফি হাউসে বসে রীতিমতো আনন্দের জোয়ারে ভেসে আপ্লুত হলেন তিনি।