Mahakaleshwar Temple: সুপ্রিম রায়, মহাকালেশ্বর মন্দিরের শিবলিঙ্গ ছুঁতে পারবেন না পুণ্যার্থীরা
উজ্জয়নের মহাকালেশ্বর মন্দির (Photo Credits: Facebook)

নতুন দিল্লি, ২ সেপ্টেম্বর: মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নের শতাব্দী প্রাচীন মহাকালেশ্বর মন্দির (Mahakaleshwar Temple) নিয়ে এবার রায় দিল দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, দর্শনার্থীরা মহাকালেশ্বর মন্দিরের শিবলিঙ্গ ঘষতে পারবেন না। শিবলিঙ্গের পিএইচ মান নিশ্চিত করার জন্য মন্দির কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। এই পিএইচ মান অম্ল বা মৌলিকত্বকে নির্দেশ করে। ভষ্ম দিয়ে শিবলিঙ্গের ক্ষয়কে রোধ করা যেতে পারে, যাতে ভবিষ্যতে আর ক্ষয় না হয়। প্রাচীন মন্দিরের শিবলিঙ্গ ক্ষয়ে যাচ্ছে ভক্তির বাহুল্যে। সেই ক্ষয় রোধ করতেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল মন্দির কমিটি। এদিন বিচারপতি অরুণ মিশ্রের ডিভিশনবেঞ্চ মন্দির কমিটিকে নির্দেশ দেয় যে শিবলিঙ্গের ক্ষয় রোধ করতে সবথেকে ভাল পদ্ধতি কাজে লাগানো হোক। আরও পড়ুন-COVID-19 Infected Doctor Died: করোনার থাবা, কলকাতায় মৃত্যু চিকিৎসকের

এই প্রসঙ্গেই সু্প্রিম রায়ে জানানো হয় দর্শণার্থী বা পুণ্যার্থীরা শিবলিঙ্গ ঘষতে পারবেন না। এরপরেও যদি কোনও পুজারি বা পুরোহিতের সামনে পুণ্যার্থীরা শিবলিঙ্গ ঘষেন তাহলে তার জন্য দায়ী থাকবেন ওই পুরোহিত বা পুজারি। মন্দিরের পক্ষ থেকে যখন ঐতিহ্য মেনে পুজো হবে সেই সময় ছাড়া কোনওভাবেই শিবলিঙ্গ ঘষা চলবে না। এমনই নির্দেশিকা দিল বিচারপতি অরুণ মিশ্রের নেতৃত্বাধীন বিচারপতি বিআর গাওয়াই ও বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারির ডিভিশনবেঞ্চ। মূলত আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া ও জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টের উপরে ভিত্তি করেই এই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মূলত শতাব্দী প্রাচীন শিবলিঙ্গের সংরক্ষণের জন্যেই পুণ্যার্থীদের শিবলিঙ্গে হাত দিতে নিষেধ করা হচ্ছে। ২০১৯-এর জানুয়ারিতে বিশেষজ্ঞদের একটি দল উজ্জয়নের মহাকালেশ্বর মন্দির পরিদর্শনে যায়। তারপরেই রিপোর্টে জানানো হয় শতাব্দী প্রাচীন শিবলিঙ্গে ক্ষয় শুরু হয়েছে। শেষ পরিদর্শনের পরেও সেই ক্ষয় চলছে। তাই সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশিকায় জানিয়েছে, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে বিশেষজ্ঞ কমিটি আরও একবার ওই শিবলিঙ্গ পরিদর্শনে যাক এবং তারপর রিপোর্ট জমা দিক। একই সঙ্গে মন্দিরের কাঠামো সংরক্ষণের জন্য সেই সংক্রান্ত রিপোর্টেরও প্রয়োজন রয়েছে। তবে শুধু মহাকালেশ্বর মন্দিরই নয় বিশেষজ্ঞদের পরিদর্শনের তালিকায় থাকবে চন্দ্রনাগেশ্বর মন্দিরও।

উল্লেখ্য, একবারই নয়, নিয়ম করে প্রতিবছর রীতিমতো সার্ভে করে রিপোর্ট দেশের শীর্ষ আদালতে জমা করতে হবে।এমনকী শিবলিঙ্গে ধাতব মুণ্ডমালা পরানো হবে কি না তা মন্দির কমিটিকেই ঠিক করতে হবে। এটাও হতে পারে লিঙ্গকে না ছুঁয়ে যদি মুণ্ডমালার ব্যবহার করা যায়। শিবলিঙ্গের ধাতব ক্ষয় রুখতে হলে ভার তো কমাতেই হবে। পুণ্যার্থীরা যেন কোনওভাবেই শিবলিঙ্গের গায়ে ঘি মাখন লেপতে না পারেন, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এর বদলে খাঁটি দুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। মন্দির কমিটিকেই সেই দুধের বন্দোবস্ত করতে হবে। তারপর তা পুণ্যার্থীদের মাধ্যমে শিবলিঙ্গে ঢালা হবে। খেয়াল রাখতে হবে যে কোনওভাবেই যেন ভেজাল দুধের ব্যবহার না হয়।