নতুন দিল্লি, ৭ ডিসেম্বর: রবিবার ভারতে কোভিড-১৯ এর টীকাকরণের অনুমতি চাইল সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (Serum Institute of India)। এর আগে ফাইজার ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া বা ডিসিজিআই-এর থেকে অনুমতি চেয়েছে। এবার প্রথম দেশীয় সংস্থা হিসেবে ডিসিজিআই-এর থেকে অনুমোদনচেয়েছে সেরাম। অক্সটফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্রিটিস ওষুধ সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে ভারতে তৈরি হচ্ছে করোনা প্রতিষেধক কোভিশিল্ড। দেশে যার বিতরণের দায়িত্বে রয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ। গত সপ্তাহে চেন্নাইয়ের এক স্বেচ্ছাসেবক জানিয়েছেন, কোভিশিল্ড ব্যবহারের পর তাঁর স্নায়ুজনতি কিছু সমস্যা হয়েছে। তিনি এজন্য সেরামের কাছে ৫ কোটির ক্ষতিপূরণও দাবি করেন।
এদিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া দূরে যাক, সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া সংস্থার সুনাম নষ্ট করার অভিযোগে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১০০ কোটির মানহানির মামলা দায়ের করেছে। এবং স্বেচ্ছাসেবকের যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার কর্ণধার আদার পুনাওয়ালার দাবি, কোভিশিল্ড একেবারেই মানব শরীরের পক্ষে সুরক্ষিত। বরং বয়স্কদের শরীরের দারুণ কাজ দিয়েছে এই টীকা। ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে পুরোপুরি সফল কোভিশিল্ড। এবারভারতে টীকাকরণের অনুমতি চেয়েছে সেরাম। এর আগে ইংল্যান্ড ও বাহরিনে কোভিশিল্ডের টীকাকরণের অনুমতি মিলেছে। গতমাসেই জানা গিয়েছিল, দেশে সেরামের উদ্যোগে কোভিশিল্ডের যে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে তার ফলাফল দেখেই আইসিএমআর-এর সহযোগিতায় দেশজুড়ে এই টীকাকরণের অনুমদোন তরাণ্বিত হবে। এদিকে আইসিএমআর জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই ৪ কোটি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন তৈরি করে ফেলেছে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। এবার ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার অনুমোদন পেলে বাকী টীকা প্রস্তুতির কাজ শুরু হবে। একই সঙ্গে তৈরী প্রতিষেধকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের টীকাকরণের কাজও চালু করে দেওয়া যাবে। আরও পড়ুন-Coronavirus Cases In West Bengal: ক্রমশ বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণ, রাজ্যে কোভিড রোগী সংখ্যা ছাড়ালো ৫ লাখ
অন্যদিকে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে কোভিড টীকাকরণের জন্য ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে ব্রিটেন। গত বুধবার ব্রিটিশ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী সপ্তাহ থেকেই গোটা ব্রিটেন জুড়ে কর্মসূচি শুরু করা হবে। একমাত্র ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদেরই টীকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বরিস জনসন সরকার। আর এবার ভারতেও এই টিকা আমদানি ও তা বিপণনের জন্য ইতিমধ্যেই ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া-র কাছে আবেদনপত্র জমা পড়েছে। জরুরি পরিস্থিতিতে ভারতে এই ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমোদন চেয়েছে সংস্থাটি, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতিও চাওয়া হয়েছে।