নতুন দিল্লি, ২৩ ফেব্রুয়ারি: অনেকদিন পরে আজ ফের সুপ্রিমকোর্টে সারদা মামলার (Saradha Scam) শুনানি। আজকের শুনানিতে তদন্তের স্বার্থে ফের রাজ্যের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করতে পারে সিবিআই। এমনটাই শোনা গিয়েছে। সিবিআই-এর দাবি, সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে একেবারেই সহযোগিতা করছেন না রাজীব কুমার। সেজন্যেই তাঁকে হেফাজতে নেওয়া হবে। আর বিধানসভা ভোটের আগে কোনওভাবেই সারদা মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে না। ভোটের পরেও চলবে তদন্ত। যদি এই কাণ্ডে জড়িত বিশিষ্টরা তদন্তে সহযোগিতা না করেন তাহলে গ্রেপ্তারি ছাড়া তখন আর সিবিআই-এর কাছে অন্য কোনও উপায় থাকবে না। ২০১৯-এ সুপ্রিমে নির্দেশেই শিলঙে সিবিআইয়ের মুকোমুখি হতে হয়েছিল রাজীব কুমারকে।
সেই সময় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছিল রাজ্যের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার মুখ খোলেননি। প্রয়োজনে পরেও তাঁকে ডাকা হতে পারে। এরপর গত বছর ডিসেম্বরে ফের রাজীব কুমারকে হেফাজতে চেয়ে শীর্ষে আদালতের দ্বারস্থ হয় সিবিআই। সেই সঙ্গে সুপ্রিম রায় অগ্রাহ্য করায় আদালত অবমাননার প্রসঙ্গও জুড়ে দেয়। আজ সেই মামলারই শুনানি হতে চলেছে। এই মুহূর্তে রাজ্য প্রশাসনের এক উচ্চপদে বহাল রয়েছেন রাজীব কুমার। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক তার আগে যদি সিবিআই তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার অনুমতি পেয়ে যায় তাহলে ফের উত্তাল হতে পারে রাজ্য রাজনীতি। অর্থলগ্নি সংস্থা সারদার তদন্তে রাজ্যের তরফে যে SIT গঠন হয়েছিল সেখানে মুখ্য দায়িত্বে ছিলেন রাজীব কুমার। যারা সারদার থেকে টাকা ও সমস্ত রকম সুযোগ সুবিধা ভোগ করেন। সেই তদন্তে তাঁরা অন্তরালেই ছিলেন। প্রধান তদন্ত্কারীর ভূমিকায় থাকা রাজীব কুমার কীভাবে এইসব মহারথীদের নাম তদন্ত রিপোর্টের বািরে রাখলেন তানিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বারবার। সিবিআই-এর জেরার মুখে পড়েও স্থির থেকেছেন। আরও পড়ুন-CBI ON Rujira Banerjee: মঙ্গলবার দুপুরে অভিষেকের বাড়িতেই সিবিআইয়ের মুখোমুখি রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়
এদিকে সম্প্রতি বিজেপির এক নেতার সঙ্গে তাঁর দারুণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে. সেই নেতা আবার দিল্লি গিয়ে রাজীব কুমারের নামে সওয়ালও করেছেন। এমনকী রাজপ্রশাসনের সাংবিধানিক পদে থাকা এক ব্যক্তির সঙ্গে রাজীব কুমারের দারুণ সম্পর্ক। বিষয়টি রাজ্যের উপরমহলের লোকজনও জানে। তারপরেও কেন রাজীব কুমারকে হেফাজতে নিতে চাইছে পুলিশ, তানিয়েই শুরু হয়েছে ধন্দ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও রাজীব কুমার সারাদা তদন্তে কোনওরকম সহযোগিতা করছেন না। এমনটাই জানিয়েছে সিবিআই। এবার যদি তাঁর মুখ খোলানো যায় তবে অনেক কিছুই প্রকাশ্যে আসবে। এদিকে সারদা মামলায় সিবিআই এর রাজসাক্ষী হওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়েছেন মুকুল রায়। অন্যদিকে রাজীব কুমারকে হেফাজতে নেওয়ার প্রসঙ্গে উঠতেই দলবদলু মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তারের দাবিতে সরব হয়েছেন কুণাল ঘোষ।