প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এসবিআই ও নরেন্দ্র মোদি (Photo Credit: PTI)

নতুন দিল্লি, ১১ অক্টোবর: ৭৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকার অনাদায়ী ঋণের হিসেব খাতা থেকে মুছে ফেলেছে স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (SBI)। ২২০ জন ঋণ খেলাপির এই টাকার অংক মুছে ফেলার খবরে মোদি সরকারের বিরুদ্ধেই তোপ দাগলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi)। কৃষকরা যখন চাষাবাদ করে ঋণ শোধ করতে পারছেন না তখন তাঁদের জেলে দেওয়ার বন্দোবস্ত হচ্ছে। মানুষজনকে ধরে ধরে বেরোজগার করা হচ্ছে প্রতিদিন। অথচ ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে কেন কোনওরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন্দ্রের বিজেপি সরকার (Narendra Modi government)? প্রশ্ন তুলেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।

টুইটারে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সোনিয়া তনয়া। তিনি বলেছেন, “চাষিরা জেলে পচে মরছেন। দেশের চাকরির বাজার শোচনীয় পরিস্থিতিতে এসে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন লাখে লাখে লোক ছাঁটাই হচ্ছে। অর্থনীতির মন্দা গতি অব্যাহত। পিএমসি ব্যাংকের গ্রাহকরা নিদারুণ আর্থিক অনিশ্চয়তার মাঝে পড়ে আর্তনাদ করছেন। এসবের পরেও ঠিক কার জন্য লাল কার্পেটের অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান সাজিয়েছে বিজেপি সরকার। কর জন্য ৭৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকা মকুব করে দেওয়া হল। কে নিল এই টাকা?”এর আগে ২০১৪-১৫ সাল নাগাদ ৪১৬ জন ঋণ খেলাপি ব্যাংকের লোন পরিশোধ না করায় ১.৭৬ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছে দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা। তথ্য জানার আইনে রিজার্ভ ব্যাংক জানাচ্ছে, ২০১৫ থেকে ১৮-র মধ্যে ২.১৭ লক্ষ কোটি টাকা ছাড় দিয়েছে বাণিজ্যিক ব্যাংক। আরও পড়ুন-তিন তালাকের অভিশাপ ঘুচিয়ে দেবতুল্য নরেন্দ্র মোদি, প্রধানমন্ত্রীকে উৎসর্গ করে মন্দির গড়লেন মুসলিম মহিলারা

শুধু স্টেট ব্যাংকই ২২০ জন ঋণ খেলাপকারীর মোট ৭৬ হাজার কোটি টাকা অনাদায়ি ঋণ হিসেবের খাতা থেকে মুছে ফেলেছে। ব্যাংকিংয়ের ভাষায় যাকে বলা হয় ‘রাইট অফ’। যাঁদের প্রত্যেকের ধার ছিল ১০০ কোটি টাকার বেশি। ধারের অঙ্ক ৫০০ কোটি বা তার বেশি, এমন ক্ষেত্রে অনাদায়ি ঘোষণা করেছে ৩৩ জন খেলাপীর ঋণ। যার মোট মূল্য ৩৭,৭০০ কোটি। তথ্যের অধিকার আইনে ওঠা প্রশ্নের প্রেক্ষিতে গত মার্চ পর্যন্ত ১০০ কোটি ও ৫০০ কোটি টাকার বেশি ঋণের ক্ষেত্রে প্রতিটি ব্যাংকের ‘রাইট অফ’ অংক জানিয়েছে আরবিআই। তাতে দেখা গিয়েছে মোট ২ লক্ষ ৭৫ হাজার কোটি টাকা অনাদায়ি ঋণ হিসেবের খাতা থেকে মুছে দিতে হয়েছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলিকে। যেখানে খেলাপির সংখ্যা ৯৮০। এই অ্যাকাউন্টগুলির এক পঞ্চমাংশের বেশি স্টেট ব্যাংকের।