কলকাতা, ১২ মার্চ: পশ্চিমী ঝঞ্চার সঙ্গে মিশেছে বঙ্গোপসাগরের জোলো বাতাস, এই বসন্তে বৃষ্টি না দিয়ে সে তো যাবে না। এর প্রকোপেই বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের নয়টি জেলায় তুমুল ঝড়বৃষ্টির (heavy rain fall) সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে বজ্রপাতও হবে। আলিপুর হাওয়া অফিসের খবর বলছে। শুধু আজই নয় আগামী কাল ও শনিবার গোটা দক্ষিণবঙ্গ ও শহর কলকাতায় বজ্রগর্ভ মেঘের সঙ্গে বৃষ্টি হবে। থাকবে জোরো হাওয়াও। তবে বৃষ্টি আজ এ চত্বরে বেশি হবে না। রাতের দিকে আদ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকতে পারে। এদিন বৃষ্টিতে ভিজবে মালদা সহ দুই দিনাজপুর। রাতে বৃষ্টির কারণে সকাল থেকেই তাপমাত্রা নামতে শুরু করবে। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিংয়ের বিস্তীর্ণ এলাকায় বৃষ্টিপাত হবে।
জানা গিয়েছে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে আজ থেকেই জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ উত্তরাখণ্ডে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়-বৃষ্টি ও তুষারপাত শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে। ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টি হবে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডিগড়, দিল্লি-সহ উত্তর পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলিতে। অন্যদিকে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার ঢেউ এসে লাগবে এদিকেও। যে কারণে আগামী দুদিন ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খন্ড, ওড়িশা ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গেও। আজ সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি উপরে। গতকাল সকালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ ৩৬ থেকে ৯৫ শতাংশ। বৃষ্টি হয়েছে সামান্য। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে নিম্নচাপের সম্ভাবনা রাজস্থান ও সংলগ্ন এলাকায়। এর জেরেই ঘূর্ণাবর্তের টানে সাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে রাজ্যে। আরও পড়ুন- Sensex Plunges Due To WHO Declares Coronavirus A Pandemic : করোনাভাইরাস মহামারী, হু-এর ঘোষণার ঘায়ে কুপোকাত শেয়ার বাজার
মঙ্গলবার থেকেই বৃষ্টির ভ্রূকুটি খবরের আসছে। আলিপুরের হাওয়া অফিসের সতর্কবার্তা দেখে চাষিদের মনে দুশ্চিন্তার মেঘ। এমনিতেই মার্চের শুরুতে দিন দুয়েকের বৃষ্টিতে মাঠেই পচেছে আলু। অন্য সবজির অবস্থাও বিশেষ ভাল না। শিলাবৃষ্টির জন্য ফসল নষ্ট হয়েছে। আমের মুকুলের অবস্থাও বেশ খারাপ। এই পরিস্থিতিতে ফের বৃষ্টি হলে ফসল আর বাঁচানো যাবে। তাই সবজির দাম বাড়লে মধ্যবিত্তের ভাঁড়ারে যে টান পড়বে তা বলাই বাহুল্য। গতকালই কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.৭ ডিগ্রি। স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। তবে, রাতের দিকে তাপমাত্রা বেড়েছে। আজ যদি বৃষ্টি হয় তাতে রাতের তাপমাত্রা ফের নামবে। অসময়ে বৃষ্টির আনাগোনা, সর্দিকাশির সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাই জ্বর হলে কোনওরকম সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।