মালকানগিরি, ৫ জুন: একে করোনায় রক্ষে নেই, তার উপরে রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটল ওড়িশায় (Odisha)। সেখানকার মালকানগিরিতে কোয়া উপজাতি গ্রামে গত তিনমাসে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।এই প্রসঙ্গে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অরুণ কুমার পাধির দাবি, ঘটনার তদন্তে স্থানীয়রা কোনওরকম সহযোগিতা করছে না। সেকারণেই ওই ১৫ জন বাসিন্দার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা সম্ভব হয়নি। একমাত্র টেস্ট হলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। তিনি ও তাঁর দল এনিয়ে কাজে নেমে পড়েছেন। খুব শিগগির ওই ১৫ জনের মৃত্যুর কারণের রিপোর্ট পেশ করা হবে। টেস্ট যখন হয়নি তখন তো মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা থাকবেই।
তিনি আরও বলেন, এরকম একটা বিষয়ে যদি এলাকাবাসী সহযোগিতা না করে তাহলে তো কাজ করাটা খুব কঠিন হয়ে যায়। আমরা ফিল্ডে নেমে কাজ শুরু করেছি, এবার খুব তাড়াতাড়ি রিপোর্ট চলে আসবে। তবে অভিযোগ উঠেছে যে, সঠিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার সুযোগ না পেয়েই নাকি ওই ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের বয়স যথাক্রমে ২৫ তেকে ৬৫ বছরের মধ্যে।
Unless they're tested,one cannot tell that the cause of death is unknown.When people aren't cooperating, it's difficult to work. We're working on field&report will come soon:Arun Kr Padhi,Chief Dist Medical Officer,Malkangiri on reports of deaths of 15 tribals in 3 months#Odisha pic.twitter.com/WKFQfNXssf
— ANI (@ANI) June 4, 2020
হিন্দুস্তান টাইমসের রিপোর্ট অনুসারে ওই এলাকায় কোয়া উপজাতির ৪০০ মানুষের বসবাস। তার মধ্যেই ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে অজানা রোগে। মালকানগিরি ব্লকের ওই এলাকায় বহু বাসিন্দার অভিযোগ যে তাঁদের পেট ও পা ফুলে যাচ্ছে। জেলা সদর থেকে ওই উপজাতি গ্রামের দূরত্ব ২০ কিলোমিটার। সদরে যেতে গেলে গ্রামের বাসিন্দাদের যে রাস্তা ব্য়বহার করতে হবে, তার বেহালদশা। এই প্রসঙ্গে মালকানগিরি জেলাপরিষদ সদস্য দশরথ পদিয়ামি বলেন, গ্রামে থেকে চার পাঁচ কিলোমিটার দূরত্বে পদ্মগিরি। সেখানেই রয়েছে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। তবে গ্রামের বাসিন্দারা কোনওরকম অসুস্থতার চিকিৎসা করাতে সেখানে যান না। এই গ্রামে অজানা রোগে প্রথম মৃত্যুর ঘটনার রিপোর্ট হয় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি। মৃত ১৫ জনের শরীরে উপসর্গ একই রকম ছিল।