মধ্যপ্রাচ্যে যে যুদ্ধ পরিস্থিতি শুরু হয়েছে, সেখানে কোনও দেশ প্যালেস্তাইন, লেবানন, ইরানদের পক্ষ নিচ্ছে, আবার কোনও দেশ ইজরায়েলের পক্ষ নিয়েছে। এসবের মাঝে একমাত্র ভারত নিরপেক্ষ থাকছে। যে কারণে ইরানের সঙ্গে যেমন ভারতের সক্ষতা রয়েছে, তেমনই আবার লেবাননের সঙ্গে বন্ধুত্ব তো রয়েইছে। এই নিয়ে অবশ্য ভারতবিরোধী দেশগুলি সুবিধাবাদী তকমা দিতে শুরু করে দিয়েছে। যদিও ভারতের এই একই অবস্থান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ক্ষেত্রেও। অনান্য দেশগুলি যেখানে পক্ষ নিতে ব্যস্ত, সেখানেও ভারতের নিরপেক্ষ অবস্থান। যদিও এই নিরপেক্ষতার কারণেও প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে বলে দাবি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের (S Jaishankar:)।

শনিবার তিনি সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে বর্তমান যে পরিস্থিতি চলছে, সেখান থেকে কেউ কোনও সুযোগ সুবিধা পাবে না। বরং মধ্যপ্রাচ্য উদ্বেগ ও দুঃশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সংঘাত বিস্তৃত হচ্ছে। আমরা দেখেছি ইজরায়েলে একটা জঙ্গি হামলা করার পরিণতি হিসেবে গাজাতে কী হয়েছে। সপ্তাহখানেক আগে লেবাননে যা হল এবং এখন ইজরায়েল ও ইরানের মধ্যে যা হচ্ছে তা অতীতের ছোট ছোট ঘটনার প্রতিফলন। আর এই নিরপেক্ষ থাকার কারণেও অনেক সমস্যায় আমাদের পড়তে হচ্ছে।

জয়শঙ্কর আরও বলেন, সম্প্রতি লোহিত সাগরে হুথিরা যে হামলা চালিয়েছে তাতে আমাদেরও প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। এটা নয় যে কেউ নিরপেক্ষ থাকলেই উপকৃত হওয়া যায়। এটা অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই যে দ্বন্দ্বে মাধ্যমেও অনেকে সুবিধালাভ করে। কিন্তু আমি মনে করি এই ধরণের সংঘর্ষের কারণে প্রতিটি দেশই কোনও না কোনও সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। যেমন পণ্য সরবরাহ এর প্রধান উদাহরণ। ফলে সত্যি কথা বলতে গেলে রাশিয়া-ইউক্রেনের সংঘাত হোক বা মধ্য প্রাচ্যে পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে সংঘাত হোক, এগুলিই হচ্ছে অস্থিরতা ও উদ্বেগের বড় কারণ। এবং সমগ্র ভারত এই নিয়ে চিন্তিত।