কলকাতা, ১৩ এপ্রিল: আয় নেই রাজ্যের! করোনা-পরবর্তী পরিস্থিতি কীভাবে সামলানো সম্ভব, সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই চিন্তায় পড়েছে রাজ্য সরকার। তৈরি হয়েছে একটি বোর্ডও। সেই বোর্ডেই রয়েছেন অভিজিৎ বিনায়ক ব্যানার্জি। কিন্তু এই পরিস্থিতি কীভাবে ঠেকানো সম্ভব! সে নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে মমতার সরকার। এরমধ্যেই জোরদার ধাক্কা খেল রাজ্যের একাধিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। বিক্রি হচ্ছে না লক্ষ্মী-গণেশের (Laxmi-Ganesh) মূর্তি। দোকানে দোকানে হচ্ছে না প্যান্ডেল। সেই কারণে ডেকরেটর্সদের ব্যবসাও ধুঁকছে। মিষ্টির দোকানেও নেই কোনও ভিড়। আরও পড়ুন: Poila Boishak Traditional Dishes: চিতল মাছের মুইঠ্যা থেকে লিচু-পায়েস, বাঙালির পাতে শুধুই বাঙালিয়ানার ছোঁয়া
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, লকডাউন চলছে রাজ্যে। সেই কারণে একের পর এক দোকানে বাতিল হচ্ছে নববর্ষ সেলিব্রেশন। যার জেরে এবছর আর চাহিদা নেই হরেকরকম মিষ্টির ডালি সাজানো প্যাকেট। ব্যস্ততা নেই মিষ্টির দোকানে। এরফলে দুধ, ছানা, ক্ষীর সবই নষ্ট হচ্ছে। কারণ এগুলো এমনই একটি জিনিসই, যা সঞ্চয় করে রাখার কোনও উপায় নেই। যার জেরে বিপুল পরিমাণ ক্ষতির মুখোমুখি মিষ্টির ব্যবসায়ীরা।
অন্যদিকে, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানেও আজ গণেশ-লক্ষ্মীর পুজোর ব্যস্ততা নেই। বেশ কয়েকটি জায়গায় মৃৎশিল্পীরা মূর্তি নিয়ে বসেছেন ঠিকই, কিন্তু খদ্দের কোথায়? বিপুল আর্থিক সঙ্কের মুখোমুখি মিষ্টির ব্যবসায়ী থেকে মৃৎশিল্পীরা। নেই এবার হালখাতাও। অন্যদিকে পুজো হচ্ছে না যার জন্য প্রয়োজন নেই রঙবেরঙের প্যান্ডেল লাগানোর। বন্ধ রয়েছে বিয়ে-পুজো সমস্ত কিছু। আগামিকাল অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে বৈশাখ মাস। এই মাসেই বিয়ের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। ফলে বিপুল ক্ষতির মুখোমুখি রাজ্যের ডেকরেটর্সরাও। বন্ধ পুজোপার্বণ-বিয়ে, ফলে ফুলের চাহিদাও তলানিতে ঠেকেছে। আর্থিক সংকটের মুখোমুখি ফুল ব্যবসায়ীরাও।