নতুন দিল্লি, ২১ ডিসেম্বর: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (Citizenship Amendment Act) প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। অসম, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, কর্নাটকে হিংসা ছড়িয়েছে। বিক্ষোভ, অশান্তি, হিংসায় অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। আজও দিল্লিসহ দেশের বিভিন্ন শহরে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে সামিল সাধারণ মানুষ। এর মধ্যেই নাগরিকত্ব সংশোধন আইনকে সমর্থন জানালে দেশের এক হাজারের বেশি শিক্ষাবিদ (Academicians)। শনিবার দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হাজারেরও বেশি শিক্ষাবিদ নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের সমর্থনে এক বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। বিবৃতিতে তাঁরা সংসদকে (Parliament) ধন্যবাদ জানিয়েছন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "ভুলে যাওয়া সংখ্যালঘুদের পক্ষে দাঁড়াতে এবং ভারতের সভ্যতাগত আত্মিক বৈশিষ্ট্য তুলে ধরতে এবং ধর্মীয় নিপীড়ন থেকে পালিয়ে আসা ব্যক্তিদের জন্য আশ্রয় দেওয়ার জন্য সংসদকে অভিনন্দন।"
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (NRC) বিরোধী বিক্ষোভ ঘিরে শনিবারও উত্তাল উত্তরপ্রদেশ। থমথমে রাজধানী দিল্লিও। যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে বৃহস্পতিবার থেকে টানা দু’দিনের বিক্ষোভ অশান্তিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হল ১১। তাঁদের মধ্যে আট বছরের এক নাবালকও রয়েছে। শুধুমাত্র প্রয়াগরাজেই ১৫০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গাজিয়াবাদে আটক ৬৫ জন। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ৬ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজিপি (DGP) ও পি সিং দাবি করেছেন, বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের তরফ থেকে কোনোভাবেই গুলি চালানো হয়নি। বিক্ষোভকারীদের পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়নি। আরও পড়ুন: Mamata Banerjee's Protest Video Goes Viral: "কা কা ছিঃ ছিঃ" স্লোগানে CAA-র তীব্র বিরোধিতায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, মুগ্ধ জনতা
সিএএ-র বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি)-র নেত্রী মায়াবতী। এ দিন কেন্দ্রের কাছে এই আইন প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি। সেই সঙ্গে তাঁর আরও দাবি, সিএএ ঘিরে এনডিএ জোটের মধ্যেই মতপার্থক্য তৈরি হচ্ছে। পাশাপাশি, শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিবাদ করার জন্যই সকলের কাছে আবেদন করেছেন মায়াবতী। তাঁর কথায়, ‘‘এনআরসি এবং সিএএ নিয়ে এখন এনডিএ-র মধ্যেই মতপার্থক্য গড়ে উঠতে শুরু করেছে। অতএব এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হোক। সেই সঙ্গে সকলে যাতে কেবলমাত্র শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিবাদ করেন, তারও আবেদন করছি।’’
উত্তপ্ত পরিস্থিতি না হলেও উত্তেজনা রয়েছে দিল্লিতেও। গভীর রাতে ভীম আর্মির প্রধান আজাদের গ্রেফতারির পাশাপাশি আটকদের মধ্যে আট নাবালকের উপস্থিতি নিয়েও দরিয়াগঞ্জ থানায় বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। পরে অবশ্য তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। আজ সকাল থেকেই জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন পড়ুয়া ও সাধারণ মানুষ।