Jamia Professor Dies: বার বার আইসিইউ বেডের খোঁজ, হাসপাতালে ভর্তি হয়েও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন জামিয়ার অধ্যাপক
নাবিলা সাদিক, ছবি ট্যুইটার

দিল্লি, ১৯ মে: 'দিল্লিতে কোনও আইসিইউ বেড পাওয়া যাবে?' কোভিডে (COVID 19) আক্রান্ত হয়ে বার বার ট্যুইট করে নিজের জন্য বেড জোগাড় করার চেষ্টা করছিলেন জামিয়া বিশ্ববিদ্যালায়ের (Jamia Professor) অধ্যাপক নাবিলা সাদিক৷ নিজের জন্য একটি আইসিইউ(ICU) বেড জোগাড়ও করে ফেলেছিলেন কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি৷ শ্বাসযন্ত্র এমনভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় যে, কোভিড আক্রান্ত হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই মৃত্যু হয় জামিয়ার বছর আটত্রিশের ওই অধ্যাপকের৷

 

নাবিলা সাদিকের মৃত্যুর পর তাঁর ট্য়ুইটার হ্যান্ডেলের একের পর এক স্টেটাস৷ কখনও একদিনে এত মৃত্যু নাবিলার মনে ভয় জাগায়৷  আবার কখনও অক্সিজেনের অভাবে একের পর এক তরুণ প্রাণ ঝরে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করতে দেখা যায় নাবিলাকে৷  সবকিছু মিলিয়ে নাবিলাও দিল্লিতে আইসিইউ বেড জোগাড় করলেও, তাঁকে চলে যেতে হয়৷

জানা যায়, নাবিলাকে পরপর ৩টি হাসপাতাল থেকে ফেরানো হয়৷  চতুর্থ হাসপাতালে ভর্তি হতে পারলেও, করোনা কেড়ে নেয় তাঁর প্রাণ৷ এক সপ্তাহের মধ্যে প্রথমে স্ত্রী এবং পরে মেয়েকে হারিয়ে 'জীবন্ত মৃতদেহে' পরিণত হয়েছেন বলে জানান নাবিলার বাবা৷

আরও পড়ুন: COVID-19: মানলেন না বাধা, স্বামীর শেষকৃত্যের জন্য কোয়ারেন্টিন সেন্টার থেকে পালিয়ে গেলেন মহিলা

জামিয়ার প্রাক্তন অধ্য়াপক মহম্মদ সাদিক জানান, প্রথমে যখন তিনি স্ত্রীকে হারান, তখন মেয়ে ছিলেন তাঁর কাছে৷ এবার মেয়েও তাঁকে ছেড়ে চলে যান৷ ঘরে তাই এখন স্মৃতিদের আনাগোনা শুধু৷  শরীরে প্রাণ তো রয়েছে কিন্তু ৮৬ বছর বয়সে তিনি যেন 'জীবন্ত মৃতদেহে' পরিণত হয়েছেন বলে জানান মহম্মদ সাদিক৷

নাবিলার ছাত্র (Student) ওয়াকার জানান, গোটা দিল্লি (Delhi) জুড়ে তাঁরা আইসিইউ বেডের খোঁজ করেন কিন্তু পাননি৷ যখন একটি হাসপাতালে তাঁদের শিক্ষিকাকে ভর্তি করা হয়, তখন তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে ৩২-এ নেমে যায়৷  এরপর আর কোনওকিছুই কাজ করেনি৷  চলে যান বছর আটত্রিশের অধ্যাপক৷