নতুন দিল্লি, ২৩ জুন: ভারত-চিন (India-China) সীমান্ত সংঘর্ষে কমান্ডার-স্তরে (Commander Level Meet) আলোচনার পর সেনাবাহিনীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, উভয় পক্ষই পিছু হটতে সম্মত হয়েছে বলে জানান গেছে। ভারত ও চিন সীমান্ত নিয়ে বিবাদের মধ্যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (LAC) দু'পক্ষের মধ্যে কমান্ডার-স্তরের আলোচনা হয়। এই বৈঠক সম্পর্কে ভারতীয় সেনাবাহিনী বিবৃতি দেয়। সেনাবাহিনী তার বিবৃতিতে বলেছে, আলোচনা অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ, ইতিবাচক এবং গঠনমূলক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে ভারতের পক্ষে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে চিনকে তার সীমান্তে ফিরে যাওয়া উচিত।
প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলে মোলডোয় এই বৈঠকে উভয় পক্ষই প্রত্যাহার করতে রাজি হয়। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, পূর্ব লাদাখের সমস্ত দ্বন্দ্ব অঞ্চল থেকে সরে আসা নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং উভয় পক্ষই এটি বাস্তবায়ন করবে।১৫ ও ১৬ জুন, গালভান উপত্যকায় উভয় পক্ষের মধ্যে মারাত্মক দ্বন্দ্ব হয়। মোলডোতে অনুষ্ঠিত সভায় ভারত পক্ষের প্রতিনিধি ছিলেন এক্সআইভি কর্পস কমান্ডার লেঃ জেনারেল হরিন্দর সিং। চিনের পক্ষে জিনজিয়াং সামরিক কাউন্সিলের কমান্ডার নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল ছিল। সেনাবাহিনী জুনের পরে এই দুই সামরিক কমান্ডারের দ্বিতীয়বার সাক্ষ্যাৎ হয়। ১৫ জুন গালভান উপত্যকায় মারাত্মক সংঘাতের পরে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায়। এই সংঘর্ষে, ভারতীয় সেনার২০ জন শহীদ হন। আরও পড়ুন, গলওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর আজ প্রথম লেহ-র আকাশে বায়ুসেনার যুদ্ধ বিমান(দেখুন ভিডিও)
সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনাদের সঙ্গে সহিংস সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়। ৭৬ জন ভারতীয় সেনা আহত হযন। একজন প্রবীণ সেনা কর্মকর্তা জানান, কোনও ভারতীয় সৈনিক চিনা সেনাবাহিনীর হেফাজতে নেই। সেনাবাহিনী আরও জানায়, ভারত ও চিনা সেনাদের মধ্যে বেশ কয়েক ঘন্টা চলমান এই সংঘর্ষে ৪৩-রও বেশি চিনা সেনা নিহত হয়েছেন। যদিও চিন জানায়, তাদের সেনা হতাহতের সংখ্যা ২০-র কম।