অসমে বিক্ষোভের ছবি (Photo: Twitter)

গুয়াহাটি, ১৯ ডিসেম্বর: বিকেল ৫টার মধ্যে রাজ্যে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা (Mobile Internet Services) পুনরায় চালু করতে অসম সরকারকে (Assam govt) নির্দেশ দিল গুয়াহাটি হাইকোর্ট (Gauhati High Court)। বিচারপতি মনোজিৎ ভুঁইয়া (Justices Manojit Bhuyan) ও বিচারপতি সৌমিত্র সাইকিয়ার (Saumitra Saikia) ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে চারটি জনস্বার্থ মামলার শুনানি শেষে। সাংবাদিক অজিত কুমার ভুঁইয়া, আইনজীবী বনশ্রী গগৈ, রণদীপ শর্মা এবং দেবকান্ত ডোলি গুয়াহাটি হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (Citizenship Act) বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলাকালীন হিংসার ঘটনার পরে ১১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মোবাইল এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। যদিও অসমে ইতিমধ্যেই ব্রডব্যান্ড পরিষেবা পুনরায় চালু করা হয়েছে। জনস্বার্থ মামলায় আদালতের পর্যবেক্ষণ, বিভিন্ন সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে 'উস্কানিমূলক' বার্তা, ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া রুখতে সরকার পদক্ষেপ নিতেই পারে। যাতে এই বার্তা ও ভিডিওর কারণে জনসাধারণের নিরাপত্তা বজায় থাকে ও হিংসা না বাড়ে। আরও পড়ুন:  Anti-Citizenship Amendment Act Protests: সিএএ-র গালে সজোরে থাপ্পড়, জামিয়ার গেটের বাইরে নামাজ পড়লেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা; তাঁদের মানব বন্ধনে ঘিরে রাখলেন দিল্লির অমুসলিম বাসিন্দারা (দেখুন ভিডিও)

সিনিয়র অ্যাডভোকেট অরূপ বোরবোরা, কেকে মহন্ত, ইউ কে নায়ার এবং বিমল চেত্রি আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন। রাজ্যের তরফে শুনানিতে হাজির ছিলেন দেবাজিৎ শা। শুনানিতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে উপস্থিত ছিলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট সলিসিটর জেনারেল এস সি কেয়েল। এদিকে আদালতের নির্দেশ আসার খানিক আগেই অসম সরকার মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা আগামীকাল সকাল ৯টা পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।

গরিকত্ব সংশোধনী বিল (Citizenship Amendment Act) ও NRC-র বিরোধিতায় বিক্ষোভের সকাল থেকেই উত্তপ্ত দেশের বিভিন্ন রাজ্য। ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে দিল্লি (Delhi) থেকে হায়দরাবাদ (Hyderabad), মহারাষ্ট্র (Maharastra), উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) থেকে কর্নাটক সর্বত্র রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে শামিল হলেন হাজার হাজার মানুষ। আটক করা হল ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহ, সমাজকর্মী যোগেন্দ্র যাদব, সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাতসহ আরও অনেক ব্যক্তিকে। দিল্লিতে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভে শামিল হাজার হাজার মানুষ। আগাম সতর্কতা নিতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ১৮টি মেট্রো স্টেশন। এর ফলে তীব্র যানজটে জেরবার দিল্লি-গুরুগ্রাম সীমানা। দিল্লির সীমানা লাগোয়া এনএইচ ৪৮, এমজি রোড এবং দিল্লি-গুরুগ্রাম জাতীয় সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। ফলে বিশাল যানজটের সৃষ্টি হয়েছে দিল্লি-গুরুগ্রাম এক্সপ্রেসওয়েতে। আর এর প্রভাব পড়েছে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (Indira Gandhi International Airport) থেকে বিমান চলাচলে। ১৬টি বিমান দেরিতে রওনা দিয়েছে। যানজটে কর্মীরা আটকে পড়ার কারণে ইন্ডিগো (Indigo) ২০টি বিমান বাতিল করেছে।