Air Transfer Of COVID-19 Patient: এই প্রথম সংকটজনক কোভিড রোগীকে কলকাতা থেকে চেন্নাইতে পৌঁছে দিল এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স
ভারতে করোনা (Photo Credits: PTI)

চেন্নাই, ৭ সেপ্টেম্বর: এই প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগীকে (COVID-19 Patient) দেশের মধ্যে এক শহর থেকে অন্য শহরে স্থানান্তর করা হল। রবিবার রাতে সংকটজনক করোনা রোগীকে কলকাতা থেকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে চড়িয়ে চেন্নাই নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ৫৮ বছরের ওই করোনা রোগীকে দুই ইঞ্জিনের যে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে চড়িয়ে চেন্নাইতে নিয়ে যাওয়া হয়, তার মধ্যে ছিল জার্মান আইসোলেশন পড। সেই পডেই ছিলেন ওই রোগী। ওই এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের ডিরেক্টর রাহুল সর্দার বলেছেন, এই প্রথম দেশের মধ্যে কোনও কোভিড রোগীকে এক শহর থেকে অন্য শহরে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের মাধ্যমে স্থানান্তর করা হল। এর আগে এমজিএম হেলথ কেয়ারে ফুসফুস প্রতিস্থাপনের লক্ষ্যে কোভিডজয়ী রোগীকে দিল্লি থেকে চেন্নাইতে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এদিকে কলকাতা থেকে সংকটজনক কোভিড রোগীকে নিয়ে যাওয়ার জন্য শনিবারই শহরে পৌঁছায় সংস্থার বিশে। মেডিক্যাল টিম। এই টিমে ছিলেন একজন প্যারামেডিক্স, একজন কার্ডিয়াক অ্যানাস্থেসিস্ট। মূলত একদিন আগে মেডিক্যাল টিমের শহরে পৌঁছানোর অন্যতম কারণ হল, রোগী স্থানান্তরের প্রয়োজনীয় কর্মকাণ্ড সেরে ফেলা। রবিবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে রোগীকে নিয়ে গ্রিন করিডরের মধ্যে দিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স মাত্র ৩০ মিনিটে বিমানবন্দরে পৌঁছে যায়। কলকাতা তেকে চেন্নাইয়ের আকাশপথে দূরত্ব ছিল ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট। এবার চেন্নাই বিমানবন্দর থেকে আরও ১৫ মিনিটের গ্রিনজোন পেরিয়ে এমজিএম হেলথ কেয়ার সেন্টারে পৌঁছায় রোগীর অ্যাম্বুল্যান্স। রোগী এক্সট্রাকরপোরিয়াল মেমব্রেন অক্সিজেনেশনের সমস্যায় ভুগছিলেন। রোগীকে গন্তব্যে পৌঁছানোর পর গোটা বিমানটি ও জার্মান আইসোলেশন পড-কে স্যানিটাইজেশনের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। রোগীকে জরুরি ভিত্তিতে স্থানান্তরের জন্য এখন সংস্থার কাছে রয়েছে দু১টি বিমান, এর সঙ্গে আরও একটি বিমান আনার কথা চলছে। তাহলে দুটি বিমান ও একটি হেলকপ্টার থাকবে সংস্থার হাতে।এর মধ্যে আরও জার্মান আইসোলেশন পড রাখা হবে। যার এক একেকটির খরচ পড়বে ১৪ লাখ টাকা। আরও পড়ুন- Jyotipriyo Mullick: এবার করোনা আক্রান্ত রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক

সংস্থার নিজেদের একটি বিমান রয়েছে। অন্যটি লিজে নেওয়া। হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু ও চেন্নাই বেসে থাকে বিমান। সংস্থার একটি হেলিকপ্টার রয়েছে। মূলত ৪০০ মিটার রেডিয়াসের মধ্যে রোগী স্থানান্তরের প্রয়োজন হলে কপ্টারকে কাজে লাগানো হয়। তার বেশি রেডিয়াসে রোগী থাকলে তখন বিমানের ব্যবহার হয়। রোগীকে এয়ার লিফটের মাধ্যমে নিয়ে আসার খরচ নির্ভর করে দূরত্বের উপরে। এই মুহূর্তে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স সার্ভিসের চাহিদা বেড়েছে। কোভিড রোগীকে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরের প্রয়োজনে প্রতিদিন ১০-১৫টি কল সংস্থার কাছে আশে।